-->
শিরোনাম

সরকারের উন্নয়ন মোকাবেলা করার মতো সক্ষমতা বিএনপির নেই: হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারের উন্নয়ন মোকাবেলা করার মতো সক্ষমতা বিএনপির নেই: হানিফ
আগামী নির্বাচন; রাজনৈতিক সংকট ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক বিবার্তা-জাগরণ টিভি মুক্ত আলোচনায় অতিথিরা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, নির্বাচনে কে অংশ নিবে, কে নিবে না এটা নিয়ে আলোচনার সময় এখন নয়।
 
এ আলোচনা নির্বাচনের তিন থেকে চার মাস আগে হওয়ার কথা। আমরা এ বিষয় নিয়ে কেন আলোচনা করছি।
 
তিনি বলেন, 'তা হচ্ছে বিএনপি বলছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না এবং একটা ইস্যু তৈরি করতে চাচ্ছে। কারণ সরকারের উন্নয়ন মোকাবেলা করার মতো সক্ষমতা বিএনপি'র নেই। '
 
বুধবার (১৮ মে) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বিবার্তা২৪ডটনেট ও জাগরণ টিভির আয়োজনে আগামী নির্বাচন; রাজনৈতিক সংকট ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক বিবার্তা-জাগরণ টিভি মুক্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
 
অনুষ্ঠানে অতিথি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক সাদেকা হালিম, হিন্দু বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ পূজা উজ্জাপন কমিটির সভাপতি কাজল দেবনাথ প্রমূখ।
 
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি তার একটি কারণ হচ্ছে সে সময় বিএনপির প্রধান দুই নেতা দণ্ডপ্রাপ্ত ছিল।
 
তখন স্বাভাবিকভাবেই তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আর ২০১৮ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এটা নির্বাচন কমিশনই বলেছে।
 
১৮'র নির্বাচনে বিএনপি সারাদিন বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল যে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে।
 
যখন দেখল তারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হচ্ছে তখন তাদের সুর পাল্টে গেছে। তখন তারা বলা শুরু করলো ভোট সুষ্ঠু হয়নি।
 
আমরা কোনটা বিশ্বাস করব? আগামীর নির্বাচন নিয়ে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, সংবিধান অনুযায়ী হবে এবং সকল দলকে নিয়েই হবে।
 
আর সেই নির্বাচনে যদি সুষ্ঠুও হয়, তাও অন্য সকল দলগুলোর কিছু না কিছু অভিযোগ থাকবে।
 
আর এটাই হচ্ছে আমাদের আচরণ। আমরা সর্বেোচ্চ চেষ্টা করব সকল দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে।
 
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাবে এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, শ্রীলংকার অবনতির কারণ হচ্ছে পর্যটনশিল্পে ধ্বস, কৃষি ক্ষেত্রের অবনতি এবং বিলাসবহুল প্রকল্পের জন্য।
 
আর বাংলাদেশ কিন্তু কৃষি ক্ষেত্রে অনেক সমৃদ্ধ। অর্থনীতিতেও সম্বৃদ্ধ। আর বাংলাদেশের রিজার্ভ যথেষ্ট আছে।
 
তাই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মতোর হওয়ার কোনো আশঙ্কাই নেই। হিন্দু বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাশ গুপ্তকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায নিশ্চিত করা হবে।
 
বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা তুলে ধরে সংসদে বিরোধীদলীয় হুইপ শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, বিএনপি বলছে বর্তমান পরিস্থিতির কথা কখনো ভুলবে না।
 
আবার আওয়ামী লীগ বলছে এ পরিস্থিতি চলবে। দুটি দলের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব। এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত।
 
 
 
 
 
 

মন্তব্য

Beta version