-->
শিরোনাম
বন্যা

বানভাসি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জাপা ও গণফোরামের

নিজস্ব প্রতিবেদক
বানভাসি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জাপা ও গণফোরামের
দুই দলের লোগো

বানভাসি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অসহায়দের দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও গণফোরাম।

শনিবার দুই রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হঠাৎ বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভিবাজার, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী সহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা। বন্যা উপদ্রুত লাখ লাখ মানুষের সীমাহীন কষ্টে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।

এক বিবৃতিতে জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে লাখ লাখ মানুষের মাঝে হাহাকার উঠেছে। কোথাও কোথাও খাদ্য সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। বন্যার্ত মানুষের মাঝে নেই শিশু খাদ্য, অভাব লক্ষিত হচ্ছে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের।

বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা আরো বাড়াতে হবে। বানভাসী মানুষের কষ্ট লাঘবে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বন্যার্তদের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে আহবান জানিয়েছেন তিনি।

বন্যার্ত্যদের সার্বিক সহায়তা করতে জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

বানভাসি মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে গণফোরাম। গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানান এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তারা বলেন- যেভাবেই ক্ষমতায় এসেছেন না কেন এই মহাদুর্যোগে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে জনগণকে বাঁচাতে হবে। সিলেট বিভাগের ৮৫ভাগ এবং সুনামগঞ্জের ৯৫ ভাগ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে সুপেয় পানি ও খাদ্যের অভাব নিয়ে দিনযাপন করছে। সকলকে অবিলম্বে উদ্ধারের জন্য আরো সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী মোতায়েন করুন। কেন? কার গাফিলতি? কিসের জন্য এতো বড়ো বন্যা সিলেট অঞ্চল গ্রাস করলো?

নিশ্চয়ই পানি প্রবাহ বাঁধার কারণে বন্যা প্রলয়ংকরী দুর্যোগে রূপ নিয়েছে। এই অঞ্চলে বন্যার সবচেয়ে বড় কারণ নদীর নাব্যতা সংকট ও হাওরে বাঁধ দিয়ে অপরিকল্পিত লুটপাটের উন্নয়ন। ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে দায়িত্বের সহিত আরো তৎপরতা বৃদ্ধি করে ২৪ ঘন্টা বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং সেই অনুযায়ী যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

তারা আরো বলেন সিলেট অঞ্চলসহ সারাদেশে যে সকল জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে সব জায়গায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করুন।

মন্তব্য

Beta version