-->
শিরোনাম

সুশৃঙ্খলভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
সুশৃঙ্খলভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ( ফাইল ফটো)।

ঢাকা: দেশে দ্বিতীয়বারের জেলা পরিষদ নির্বাচন সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

 

তিনি বলেছেন, শুরু থেকেই আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও থেকে সহিংসতা, গোলযোগ বা গণ্ডগোলের তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। কেন্দ্রগুলো থেকে যে তথ্য পেয়েছি, তাতে আমরা সন্তুষ্ট।

 

সোমবার জেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

 

সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকে নতুন অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আগামীতে এ অভিজ্ঞতা আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দেবে। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটাররা এখন সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন।

 

নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, গাইবান্ধা নির্বাচন সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে গুরুতর অনিয়ম লক্ষ করেছি। কমিশন বাধ্য হয়ে নির্বাচনটা বন্ধ করে দিয়েছে। সেখান থেকে একটা মেসেজ এসেছে। যেহেতু নির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তাই অনিয়ম হলে সেটি বন্ধ করে দেয়া যাবে। আমাদের মনে হয় এর একটি পজিটিভ ইমপ্যাক্ট এ নির্বাচনে পড়েছে।

 

দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে সোমবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয়েছে দুপুর ২টায়। ১ হাজার ৪০০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন ভবন থেকে পুরো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

 

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইভিএমে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। কেন্দ্রগুলোয় ভোটগ্রহণ মনিটরিংয়ের জন্য স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের এসব প্রস্তুতি গ্রহণ করে ইসি। এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫৭টি জেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৯২, সদস্য পদে ১ হাজার ৪৮৫ ও সংরক্ষিত পদে ছিলেন ৬০৩ জন। ৫৭টি জেলায় সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৪৮, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৬৬টি। ভোটকেন্দ্র ৪৬২ ও ভোটকক্ষ ৯২৫টি। মোট ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন। এছাড়া নির্বাচনে ২৬ চেয়ারম্যান, ১৮ মহিলা সদস্য এবং ৬৫ সাধারণ সদস্য বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালতের নির্দেশনায় স্থগিত করা হয়েছে। ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এ দুই জেলায় কোনো নির্বাচনের প্রয়োজন হয়নি।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version