নিখিল মানখিন ও সাইফুল ইসলাম: আজ ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপির বিভাগীয় শহরে গণঅবস্থান কর্মসূচি। এ কর্মসূচি ঘিরে মাঠে অবস্থান নেবে আওয়ামী লীগও। বিএনপির এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ বলা হলেও প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মুখোমুখি অবস্থানে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। নতুন বছরে প্রথম রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংঘাতের আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করলে বাধা দেয়া হবে না।
ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার ঢাকায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করবেন দলের নেতাকর্মীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তাদের চার ঘণ্টা অবস্থান করার কথা রয়েছে। এ অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য ভিন্ন কৌশলে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। রাজধানীতে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। আর দেশের অন্যত্র দলবদ্ধভাবে সতর্কাবস্থানে থাকবেন দলটির নেতাকর্মীরা।
দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাড়তি সতর্কতায় মাঠে থাকছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। বিএনপির এই কর্মসূচি ঘিরে আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচি এবং সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর বার্তা দেয়ায় জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে যে, কী হবে আজ? বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আজ মাঠে থাকছে সাতদলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, ১২ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।
এ ছাড়া কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। পাশাপাশি থাকবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এবং ইয়ুথ ফোরাম, জিয়া নাগরিক সংসদ, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, জাতীয়তাবাদী চালক দলসহ ১৫টি সংগঠন। এসব কারণেই জনমনে উদ্বেগ।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবেই এ কর্মসূচি পালন করবে। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশের সহযোগিতা চায় দলটি। এজন্যই গতকাল রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করে। পুলিশের পক্ষ থেকেও সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলে বিএনপি থেকে জানানো হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির দিন রাজধানীতে ঘোষিত কর্মসূচি পালন করবে মহানগর আওয়ামী লীগ। তবে সারা দেশে সতর্কাবস্থানে থাকার জন্য নেতাকর্মীদের অলিখিত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিএনপি যাতে বড় পরিসরে অবস্থান নিতে না পারে সেজন্য জেলা ও উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান প্রবেশমুখে ভিন্ন কৌশলে দলবদ্ধভাবে সতর্কাবস্থানে থাকবেন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পরোক্ষ চাপ সৃষ্টি করা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত বছর শেষ দিকে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশগুলোতে নেতাকর্মীদের বিপুল জমায়েতে ঘুম ভাঙে আওয়ামী লীগের। জাতীয় সংসদ নির্বাচনী বছরে রাজনৈতিক মাঠের দখল যাতে হাতছাড়া না হয়, সেজন্য পদক্ষেপ নেয় আওয়ামী লীগ। এর আগে বিএনপির বিভিন্ন বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের ঘটনা ঘটে। তবে ১০ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত বিএনপির গণসমাবেশ এবং ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের দিনও আওয়ামী লীগ সমাবেশ ও মিছিল নিয়ে মাঠে ছিল।
তবে এ দফায় আক্রমণাত্মক নয়, বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য মাঠে থাকার নির্দেশনা রয়েছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। ওই দুটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপির মারমুখী আচরণ এবং মাঠে থাকার সাহসিকতা ও মনোবল আওয়ামী লীগকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর কোনো কর্মসূচিকেই খাটো করে দেখছে না আওয়ামী লীগ। গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপিকে চাপে রাখার কারণে দলটি ঢাকায় বড় সমাবেশ করতে পারেনি।
একই কৌশল ৩০ ডিসেম্বরও কাজে লেগেছে। এখন পর্যন্ত যে নির্দেশনা, তাতে ভবিষ্যতে বিএনপির যেকোনো কর্মসূচিতে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ। পরে ১০ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত বিএনপির গণসমাবেশ এবং ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলে শত প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন নেতাকর্মীরা। এতে আরো সতর্কতামূলক অবস্থানে চলে যায় আওয়ামী লীগ।
বিএনপির চার ঘণ্টা অবস্থান : বিভাগীয় গণঅবস্থানে দলের শক্ত অবস্থান জানান দিতে তৎপর বিএনপি। বিশেষ করে নয়াপল্টনে দলটি ঢাকা বিভাগের কর্মসূচিতে বিপুল লোক সমাগম করতে চায়। বিএনপির সঙ্গে এ কর্মসূচি পালন করতে মাঠে থাকছে যুগপৎ আন্দোলন করা ৩৪টি দল ও ১৫টি সংগঠন ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
কর্মসূচি পালন শেষে নতুন কর্মসূচি আসবে বলে জানা গেছে। দলের করামুক্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকার কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। বিএনপি নেতারা বলছেন তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চান। সেজন্য তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
জানা গেছে, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলো। যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা ও রংপুর বিভাগে এবং ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে শান্তিপূর্ণ প্রথম গণমিছিল করেছে বিএনপি। ওই গণমিছিল শেষে ১১ জানুয়ারি অর্থাৎ আজ বুধবার বিভাগীয় ১০ সাংগঠনিক শহরে গণঅবস্থানের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
ওই কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে বিভাগীয় শহরে গণঅবস্থান সফল করতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে নামে। গণসংযোগ, কর্মিসভা, লিফলেট বিতরণসহ ব্যাপক প্রস্তুতিমূলক কর্মকান্ড চালানো হয় দলটির পক্ষ থেকে। বিশেষ করে ঢাকার কর্মসূচি সফলে প্রতিদিনই মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দফায় দফায় বৈঠক করেছে। নয়াপল্টনের গণঅবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে দলের সদ্য কারামুক্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
গণঅবস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাতদলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। পূর্ব পান্থপথের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বড় আকারে শোডাউন করে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতাকর্মীরা। বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ১২ দলীয় জোট। পুরানা পল্টন মোড়ে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন ১২ দলের জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। আরামবাগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করবে মোস্তফা মোহসীন মন্টু নেতৃত্বাধীন গণফোরাম।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এক বিবৃতিতে জানান, আজ ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করবে তারা। এজন্য দেশের সব মহানগরী শাখায় আলোচনা সভা করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ভোরের আকাশকে বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে চায়। বিভাগীয় আগের সমাবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইতোপূর্বে সব সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। আজকের সমাবেশও হবে শান্তিপূর্ণ।
বিশেষ করে ঢাকার সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে জানিয়ে দলের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, রাতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ডিএমপিতে যান।
মাঠে থাকছে আওয়ামী লীগ : ১০ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত বিএনপির গণসমাবেশ এবং ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের দিনও আওয়ামী লীগ সমাবেশ ও মিছিল নিয়ে মাঠে ছিল। ওই দুটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপির মারমুখী আচরণ এবং মাঠে থাকার সাহসিকতা ও মনোবল আওয়ামী লীগকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর কোনো কর্মসূচিকেই খাটো করে দেখছে না আওয়ামী লীগ। এখন পর্যন্ত যে নির্দেশনা, তাতে ভবিষ্যতে বিএনপির যেকোনো কর্মসূচিতে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ।
এদিকে, ১১ জানুয়ারি রাজধানীতে শান্তি সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া ১০ ডিসেম্বর ও ৩০ ডিসেম্বরের মতো প্রতিটি থানা ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থানে থাকবে ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে সোমবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ১১ জানুয়ারি ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর সামনে সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে নির্দেশনা দিতে গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সহযোগী সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এর বাইরে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম আলাদা করে কথা বলেছেন মহানগরের নেতাদের সঙ্গে। এর আলোকে ১১ জানুয়ারি (বুধবার) বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির দিন নিজেদের কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে।
শুক্রবার দলের সম্পাদকমÐলীর সঙ্গে সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যৌথ সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ভোরের আকাশকে বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে জ¦ালাও- পোড়াও ও আগুনে মানুষ মারার ইতিহাস রয়েছে বিএনপির। তাই বিএনপির কর্মসূচির কথা শুনলেই আতঙ্কে থাকে জনগণ। আর জনগণকে কোনো অশুভ শক্তির থাবা থেকে রক্ষা করতে সবসময় সতর্ক থাকে সরকার ও আওয়ামী লীগ। আজো বিএনপির আচরণ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। আর জনগণকে আশ^স্ত রাখতে সতর্কাবস্থানে থাকবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
গণঅবস্থানের নামে জনদুর্ভোগ হলে সহ্য করা হবে না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে কঠোর সতর্কতায় থাকছে সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কথায় তা স্পষ্ট। তিনি গতকাল সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে মুজিব কর্নারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিএনপি গণঅবস্থানের নামে কোনো জনদুর্ভোগ তৈরি করলে, তা সহ্য করা হবে না। তবে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা নেই।
তিনি বলেন, গত সব কর্মসূচিতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তাই গণঅবস্থানের নামে রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর বা ধ্বংসাত্মক কাজ করলে নিরাপত্তা বাহিনী তা প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, ‘ধ্বংসাত্মক কাজ হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য