-->
শিরোনাম

নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো প্রত্যাশা নেই বিএনপির : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো প্রত্যাশা নেই বিএনপির : মির্জা ফখরুল

নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

সোমবার সকালে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিকালে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব এই কথা বলেন।

 

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকালে সাংবাদিকদের সাথে আলোপচারিতায় বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া দেন। নতুন রাষ্ট্রপতি ছাড়া বিএনপি মহাসচিব দেশের চলমান সংকট, আন্দোলনসহ নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

 

এ সময়ে দলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

 

সোমবার সকালে ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন শপথ গ্রহন করেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে মো. শাহাবুদ্দিনকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

 

শপথ নেওয়ার আগে মো. সাহাবুদ্দিন একাধিকবার গণমাধ্যমকে বলেছেন যে, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার অবস্থান থেকে যতটা ভুমিকা পালন করার সেটা করবে বলেছেন … এরকম প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ যতটা ভুমিকা পালন তো আমরা জানি। আমরা তো সরকারে….। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার উনার(মো. সাহাবুদ্দিন) সুযোগও নাই আর উনার সেই সাহস আছে বলে আমরা মনে করছি না আরকি।”

 

তার মানে আপনারা তার ওপর আস্থাশীল না- প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘তাতো বটেই। এটা তো পরিস্কার বলেছি আমরা….।”

 

রাজনৈতিক সংকট সমাধানে যদি রাষ্ট্রপতি সংলাপের উদ্যোগে নিলে আপনারা যাবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ যদি‘র তো কোনো উত্তর থাকে না। বিষয়টা হচ্ছে যে, সেই ধরনের কোনো সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে কিনা। সরকারের বাইরে রাষ্ট্রপতির করার তো কোনো ক্ষমতাই নেই।”

 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ আপনারা দেখেছেন যে, আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, আমাদের এই আন্দোলনে অলরেডি ১৭ জন প্রাণ দিয়েছেন, আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, আমাদের শত শত মানুষ এখনো কারাগারে আছে। দি মুভমেন্ট ইজ অন।”

 

‘প্রবীন রাজনীতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য এর মৃত্যুতে শোক’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা পঙ্কজ বাবুর মৃত্যুতে শোকাহত। আমরা মনে করি যে, তিনি এদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘকাল ধরে সমাজ পরিবর্তনের রাজনীতি করেছেন। তিনি সমাজতন্ত্রের বিশ্বাস করতেন এবং ছাত্র জীবন থেকে পরবর্তিকালে ছাত্রত্ব থেকে রাজনৈতিক জীবনে আসেন তখনও তিনি ওই সমাজ পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করেছেন।”

 

‘‘ আমাদের সঙ্গে তার অনেক রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে রাজনীতিক হিসেবে নিসন্দেহে হিসেবে তিনি অত্যন্ত বরণ্যে ব্যক্তিত্ব। আমরা তার পরকালে আত্মার শান্তি লাভ করে আমরা সেটাই কামনা করছি।”

 

রোববার রাত রাতে ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হসপিটা্লে চিকিতসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৪ বছর।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version