-->
শিরোনাম

দেশে এখন আইনের শাসন আছে, নৈরাজ্য নেই: আইনমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
দেশে এখন আইনের শাসন আছে, নৈরাজ্য নেই: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, দেশে এখন আইনের শাসন আছে, নৈরাজ্য নেই। কেউ বলতে পারবে না হত্যার বিচার হয় না।

 

শনিবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

আনিসুল হক বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সংবিধানে বাংলাদেশ চলে। বিএনপি, স্বৈরাচার জাতীয় পার্টি সংবিধান নিয়ে ফুটবল খেলেছে। এটা বন্ধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

আইনমন্ত্রী চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর মহানগর ট্রেন দিয়ে সকালে আখাউড়ায় আসেন। রেলওয়ে স্টেশনে শত শত দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানায়।

 

পরে সেখান থেকে সড়কপথে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কর্মী সমাবেশে যোগ দেন। আগামী নির্বাচন কোনো নির্দলীয় ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছেন।

 

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা বলে আইনের সুশাসন নেই তারা নিজেরাই আইন জানে না। আনিসুল হক বলেন, হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়াকে বিএনপি আইনের শাসন মনে করে। আওয়ামী লীগ তার অবসান ঘটিয়েছে। এখন সবাই কথা বলতে পারে।

 

এটাই হলো গণতন্ত্র। মানুষ এখন বিচার পায়। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তাদের তারা চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করেছিল। তাদের লিডার অব দা অপজিশন বানিয়ে দিয়েছিল। আমাদের সময় এসব হয় না। আমাদের সময় আইনের বইতে যা লেখা আছে জনগণকে সেটা পালন করতে হয়। সরকার সেটা পালন করে। এটাকে বলা হয় আইনের শাসন।

 

যে বলে আইনের শাসন নেই, সে আইনের শাসন মানে কি সেটাই বুঝে না। আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল তার পরিবারসহ। ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের কেউ বিচার করতে পারবে না বলে আইন পাস করে খন্দকার মোস্তাক এবং জিয়াউর রহমান- সেটা আইনের শাসন মনে করে বিএনপি।

 

আর আমরা (আওয়ামী লীগ) মনে করি, যেখানে আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। আইনে যা লিখা আছে সেভাবে জনগণকে পালন করতে হয়। মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজলসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version