-->
শিরোনাম

কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রটোকল বাতিলে দেশ একঘরে হতে পারে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রটোকল বাতিলে দেশ একঘরে হতে পারে: মির্জা ফখরুল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্প্রতি তিন দেশের সফরে উপযুক্ত প্রটোকল না পেয়ে দেশে কূটনীতিকদের নিরাপত্তার প্রটোকল বাতিল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

তিনি বলেন, বিদেশিদের নিরাপত্তা প্রটোকল বাতিল করা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হবে। বাংলাদেশ কূটনীতিতে একঘরে হয়ে যেতে পারে।

 

মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২-তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক যৌথ সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। যৌথসভায় জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে বিএনপির ১৩ দিনের কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল ।

 

তিনি বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রটোকল তুলে নেওয়া বিএনপির কাছে দুইটা জিনিস মনে হয়।

 

একটা হচ্ছে- চরম দায়িত্বহীনতা। এর ফলে আন্তর্জাতিকভাবে যে সমস্যার সৃষ্টি হবে, সেটা দেশের জনগণকে ভোগ করতে হবে।

 

দ্বিতীয় হচ্ছে- আত্মঅহংকার কোন জায়গা নিয়ে পৌঁছাতে পারে, সেটা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করবে। সত্যি কথা আমরা বুঝতে পারছি না কেন এটা করেছে।

 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমার কাছে মনে হয়, সম্ভবত এবার বিদেশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঠিক উপযুক্ত সেই রকম প্রটোকল পাননি। সেটার একটা প্রতিবাদ বা প্রতিশোধ হিসেবে আমরা এটা দেখতে পাচ্ছি।

 

বিদেশিদের প্রটোকল দেওয়া দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, হঠাৎ করে সেটাকে বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে, সামথিং ইজ রং। এটা নিঃসন্দেহে একটা উত্তেজনা সৃষ্টি করবে। একটা সমস্যা সৃষ্টি করবে। এই ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, কূটনীতিকদের প্রটোকল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে আরও এক ঘরে করে তুলবে। বিএনপি উদ্বিগ্ন, বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের কাছে এটা ক্ষতিকারক হবে। কারণ সমস্যাটা তো সরকাররের নয়, সমস্যা দেশের জনগণের। কারণ এটার পরবর্তী যে সিদ্ধান্ত হবে সেটা জনগণকে ভোগ করতে হবে। আজকে এটার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য যদি পাল্টা কোনও ব্যবস্থা নেয় সেটা তো দেশের জনগণকে ভোগ করতে হবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

 

কর্মসূচি: দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২-তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ২৯ মে থেকে আগামী ১০ জুন ১৩ দিনের ঘোষিত বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে ৩০ মে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, স্বরচিত কবিতা পাঠ, বইমেলা প্রদর্শনী ইত্যাদি। দিবসটিতে দলের কার্যালয়গুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন, দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করে রাখা হবে।

 

এ ছাড়া নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। সেইসঙ্গে বিএনপির প্রতিটি অঙ্গসংগঠন আলাদা করে কর্মসূচি করবে। মহানগর উত্তর-দক্ষিণ প্রতিটি ওয়ার্ড দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে বস্ত্র ও খাদ্য বিতরণ এবং দোয়া মাহফিল করবে।

 

এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পত্র-পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ওপর পোস্টার প্রকাশ করা হবে।

 

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর একদল সদস্যের অভ্যুত্থানে নিহত হন জিয়াউর রহমান। সেই থেকে এ দিনকে বিএনপি ‘শাহাদত দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version