-->
শিরোনাম

বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না: জি এম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) এমপি বলেছেন, পৃথিবীর সকল ধর্মই শান্তি, সম্প্রীতি ও কল্যাণের কথা বলেছে। প্রতিটি ধর্মই মানবিক মূল্যবোধের উন্নয়ণের কথা বলেছে। বাংলাদেশের মানুষ হাজার বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঐতিহ্য লালন করছে। সকল ধর্মের মানুষ যেনো আত্মীয়তার বন্ধনে বাঁধা। দেশের মানুষের রক্তের মধ্যেই আছে ধর্মনিরপেক্ষতা। অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আমাদের শেখাতে হয় না।

 

শনিবার (২০ মে) দুপুরে দয়াগঞ্জের জাতীয় শিব মন্দির চত্বরে স্বামী শ্রী অধোক্ষানন্দ দেবতীর্থ মহারাজ এর নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

জি এম কাদের কাদের আরো বলেন, ভারত হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে কাছের এবং বড় প্রতিবেশি। ভারতের জনগণ সবসময় আমাদের পাশে ছিলো। শুধু একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ নয়; সকল প্রয়োজনেই ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আমাদের পাশে ছিলো। আমাদের সংস্কৃতি, চেহারা ও ইতিহাসে মিল আছে। বর্তমানে ভারত শুধু সামরিক শক্তি নয়; অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে। বন্ধুপ্রতিম দেশের উন্নয়নের সাথে আমরাও উপকৃত হচ্ছি। ব্যবসা, চিকিৎসা এবং শিক্ষার জন্যও ভারত আমাদের কাছে দরকারি। আমাদের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা জরুরি।

 

প্রতিবেশি সকল দেশের সঙ্গেই জাতীয় পার্টি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাস করে জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের যেমন সম্পর্ক রাখা দরকার, তেমনি আমাদের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক রাখা জরুরি। ভৌগলিক কারণেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। কারণ, ভারতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে বাংলাদেশকে যেনো কেউ ব্যবহার করতে না পারে। ভারতে ন্যায্য দাবি হচ্ছে, বাংলাদেশকে ব্যবহার করে কেউ যেন ভারতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে। পরস্পরের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারত শক্তিশালী সম্পর্ক। তাই, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না। এমন সম্পর্কে পরস্পর এক সঙ্গে এগিয়ে চলা সহজ হয়।

 

জি এম কাদের বলেন, ভারতের প্রয়োজনে আমরা সহায়তা দেবো আবার আমাদের প্রয়োজনে ভারত সহায়তা করবে এটাই দুটি দেশের মানুষের প্রত্যাশা। এ কারণেই ভারতে যে সরকারই আসে তারাই বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

 

তিনি বলেন, আমরা পরস্পরের ভাই হিসেবে থাকবো, একে অন্যের বিপদে পাশে থাকবো। বাংলাদেশ ও ভারত একইসাথে সার্বিক উন্নয়ণের পথে এগিয়ে যাবে।

 

এসময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছেন, দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রকৃত বন্ধু হচ্ছে জাতীয় পার্টি।

 

তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শুভ জন্মষ্ঠমীতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছেন। জন্মাষ্ঠমীর র‌্যালী বের করতে সকল সহায়তা করেছেন। হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্ট গঠন করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এছাড়া পূজা-পার্বণে জাতীয় পার্টি সব সময় সংখ্যালঘুদের পাশে থাকে। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অক্ষয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব অকৃত্রিম।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ভারতের ত্রিপুরা বিধান সভার ডেপুটি স্পিকার শ্রী রাম প্রসাদ পাল।

 

অ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামী’র সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে। বক্তৃতা করেন সত্যম রায় চৌধুরী, এসকে বাদল, তরুন চক্রবর্তী।

 

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, হিন্দু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, ভাইস চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন আহমেদ ঢালু, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version