যারা বিভিন্ন সময় আগুন সন্ত্রাস করেছে তাদের এবং তাদের হুকুম দাতা ও অর্থ দাতাদের তালিকা করা হচ্ছে। এসব তালিকা বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হবে। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। রোববার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন তিনি৷
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যে পেশাদার সমালোচক এবং রাজনৈতিক সমালোচক সবাই একটি কথা বলেছেন, এটি একটি ঘটতি বাজেট। পেশাদার সমালোচকরা একটু খোঁজখবর নিয়ে বললে ভালো হতো। পেশাদার সমালোচকরা সমালোচনা করার আগে গবেষণা করেন এটা তাদের বক্তব্য। তবে কতটুকু গবেষণা হয় সেটা আমি জানি না।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করতে চাই। সে কারণে পররাষ্ট্রসহ অন্যান্য বিষয়ে অনেক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। মধ্যপ্রাচ্যে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, ফ্যাশন সচেতনতা বেড়েছে, সেখানে আমাদের বাণিজ্য বাড়ানো প্রয়োজন।
আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে আমাদের বাণিজ্য সম্ভাবনা প্রচুর, সেখানেও আমরা বাণিজ্য বাড়াতে চাই। ওশেনিয়া অঞ্চলে আমাদের বাণিজ্যের সম্ভাবনা প্রচুর, সেখানেও আমরা বাড়াতে চাই, প্রধানমন্ত্রী সে কথাই বলেছেন। আর যারা মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার পর টেনশনে আছেন তাদের টেনশন কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ওই কথা বলেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ডিজিপির অনুপাতে ৫.২ শতাংশ ঘটতি। ভারতে ৫.৯ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ৬ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৫.৫ শতাংশ। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের তুলনায় আমাদের ঘাটতি কিন্তু কম।
তিনি বলেন, যারা রাজনৈতিক সমালোচক, তারা তো বাজেট না পড়েই বক্তব্য দিয়ে দিয়েছেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে এই বাজেটকে জনবান্ধব ও গরিববান্ধব এ জন্যই বলেছি, সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি উপকারভোগীর সংখ্যা ও বিভিন্ন ভাতাধারীর সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে, ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর কথা হয়েছে।
সরাসরি দুই কোটি মানুষ সরকারের কাছ থেকে নানাভাবে অর্থসহ নানা সহায়তা পাবে। তাহলে কি এটি গরিববান্ধব বাজেট নয়?
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য