হামলার শিকার হয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ও ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীম। এ ঘটনার পর বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একইসঙ্গে আগামী ২১ জুন সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনের ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। দলটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগও দাবি করেছে। দলটির বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ক্ষোভ জানিয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর চাঁদমারীতে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, আজ (সোমবার) নির্বাচনে সকাল থেকেই বরিশালে বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়ম শুরু করে নৌকার প্রার্থীরা। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ছাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান হাতপাখার প্রার্থী ও দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। সেখান থেকে বের হওয়ার পর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথার কাছে ৩০ থেকে ৪০ ব্যক্তি মেয়র প্রার্থীর ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। বেশিরভাগ কেন্দ্র দখল করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন। এছাড়া খুলনায়ও একই চিত্র বলে দাবি করেন রেজাউল করীম।
তিনি বলেন, এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে তিনি বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেন। এছাড়া আসন্ন সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দেন। এছাড়া ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন চরমনোই পীর। এছাড়া আগামী শুক্রবার সারা দেশের জুমার নামাজের পর তিনি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।
এদিকে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমিরের ওপর হামলার ঘটনায় বরিশালের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন দলটির সমর্থকরা। তাদের মোড়ে মোড়ে অবস্থান করতেও দেখা গেছে। গতকাল দুপুর দেড়টায় এয়ারপোর্ট থানার কাশিপুর এলাকায় তারা বিক্ষোভ করেন। ফয়জুল করীমের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কয়েকশ নেতাকর্মী শহরের দুটি স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, দলটির বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক বরিশাল নগর অভিমুখে রওনা হয়েছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দপদপিয়া সেতু বন্ধ করে দেয়ায় তারা শহরে প্রবেশ করতে পারেননি। তারা সেতুর অপরপ্রান্তে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হন। এছাড়া ঢাকা, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য