-->
শিরোনাম

আ.লীগের সমাবেশে থাকবে লাখো মানুষ

নিখিল মানখিন
আ.লীগের সমাবেশে থাকবে লাখো মানুষ

নিখিল মানখিন: সরকার পতনের ‘এক দফা’ দাবিতে বিএনপি চূড়ান্ত যুগপৎ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দেবে আজ। আর ‘শান্তি সমাবেশের’ ব্যানারে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিম গেট-সংলগ্ন দুই পাশের রাস্তায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর-দক্ষিণ) উদ্যোগে বিকেল তিনটায় অনুষ্ঠিত হবে এই শান্তি সমাবেশ। শান্তি সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে মঙ্গলবার প্রস্তুতি সভা করেছে আয়োজকরা। সমাবেশে লাখো মানুষ জমায়েত করানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

 

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জানান, দলটির লক্ষ্য শান্তি সমাবেশে এক লাখ লোকের জমায়েত করা। এ জন্য ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে লক্ষাধিক কর্মী-সর্মথক আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। মঙ্গলবার রাজধানীর টিসিবি ভবন অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের জরুরি প্রতিনিধি সভা থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

 

সভা শেষে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, আপনারা যার যার এলাকায় গিয়ে প্রস্তুতি শুরু করুন। আমরা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ বুধবার দুপুর আড়াইটার মধ্যে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেব। আপনারা ব্যানার, ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে যাবেন।

 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী সাংবাদিকদের বলেন, ১২ জুলাইয়ের শান্তি সমাবেশ অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে জনসমুদ্রে রূপ নেবে। এদিন দেড় লক্ষাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে গুলিস্তান-নবাবপুর, দৈনিক বাংলা মোড়, মুক্তাঙ্গন-জাতীয় প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকা শুধু আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে।

 

কেন্দ্রীয় ও দুই মহানগর আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, গত ডিসেম্বর থেকে বিএনপির কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে যত কর্মসূচি তারা পালন করেছেন, এর প্রায় সবই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আলাদা আলাদাভাবে পালন করেছে। এমনকি যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নিজেদের মতো করে সভা-সমাবেশ করেছে। কিন্তু বুধবার দুই মহানগর যৌথভাবে সমাবেশ করবে। এছাড়া সহযোগী সংগঠনগুলোকেও এতে অংশ নিতে বলা হয়েছে।

 

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, যে আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা নেই সে আন্দোলন ও দাবি মূল্যহীন। আওয়ামী লীগ সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে। জনকল্যাণ ও শন্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ কখনো বাধা দেয় না। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কেউ দেশের শান্তি বিনষ্ট করতে চাইলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জবাব দেয়া হবে। বিএনপির কোনো আন্দোলনে জনগণ ছিল না, আগামীতেও থাকবে না। তাদের এই এক দফা দাবি সফল হবে না। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নিয়ে ভাবে না, দেশের মানুষকে কীভাবে ভালো রাখা যায়, তা নিয়ে কাজ করছে।

 

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির সকল কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আওয়ামী লীগ। আঘাত নয়, আঘাত এলে প্রতিহত করবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ যাতে রাজনীতির মাঠে ‘বিশৃঙ্খলা’ করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে সারা দেশে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগরে সব ওয়ার্ড ও থানার নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রচার-প্রচারণার ঘোষণা দিলেও আগস্ট মাসে মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই সরব হবে আওয়ামী লীগ।

 

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নামার নির্দেশনা দেন এবং তৃণমূলে নেতাকর্মীদের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয় কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের।

 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টা কর্মসূচি দেয় না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী মাঠে থাকবে। বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে শান্তি সমাবেশ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

 

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সস্পাদক এম এম কামাল হোসেন বলেন, বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার কারণে দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তাদের কোনো আন্দোলনেও সফলতা নেই। আন্দোলনের নামে বিএনপি যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, সেজন্য জনগণের জানমাল রক্ষায় মাঠ নামবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version