সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, দু-একটি কোকিলের ডাকে অসময়ে যেমন বসন্ত আসে না, তেমনি দু-একজন বিশ্বাস ঘাতকের কারণে সবকিছু বদলে যাবে না।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি, অর্জন ও কার্যক্রম অবহিতকরণ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশ পরিচালনায় একের পর এক রেকর্ড করেছেন। কারো প্ররোচনায় জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করা। অতিমারি চলাকালীন সময়ে বিশ্ব স্থবির থাকলেও বাংলাদেশে সেবায় কোন ঘাটতি দেখা দেয়নি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মানুষ ঘরে বসে সেবা পেয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে শোষণ থেকে শাসকের আসনে এনেছেন। তার আগে বাঙালি জাতি শুধু শাসিত হয়েছে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর এখনও জার্মানিতে আমেরিকার সেনাবাহিনী রয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতায় স্বাধীনতার পরপরই ভারতীয় সেনাবাহিনী ফিরে গেছে।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়িত সেবাখাতের বাজেটের আকার ১২ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০০৮-০৯ বার্জটের আকার ছিল ১০১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১২ হাজার ২১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ৫৫ প্রকাশ সেবা দেয়া হচ্ছে, যার কৃতিত্ব পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রতিটি বাজেটে উপকারভোগীর সংখ্যা ও প্রদেয় সেবার পরিমাণ বেড়েছে। আগামীতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় লিড মন্ত্রণালয় হিসেবে আবির্ভূত হবে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ বলেন, প্রকৃত কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে কাজ করে যাচ্ছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলস্রোতে আনতে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। শিশু আইনকে আরও আধুনিক করে শিশুর নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করা, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দিয়ে তাদের পুর্নবাসন করা হচ্ছে।
সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল বলেন, আগের চেয়ে ১১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম। স্বাভাবিক শিশু জন্ম হলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অস্বাভাবিক শিশু হলে আমাদের অধীনে চলে আসে। তার শিশুকাল থেকে বেড়ে ওঠা জীবন চক্রের প্রত্যেকটি স্তরে আমাদের কার্যক্রম রয়েছে। প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবাদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। আগের চলমান সব সেবার পরিধি ও পরিমাণ প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। সরকার নিজের গড়া রেকর্ড প্রতি বছরেই ভেঙে চলেছে।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য