তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের অসহায় মানুষের জীবনকে সুরক্ষিত করেছেন। মানবতার মা হয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সারাদেশে চার কোটি পরিবারকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবারবেলা ১১টায় নাটোরের সিংড়া উপজেলার রামানন্দ-খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসচির আওতায় ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।বাসস
পলক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের খোঁজ নিতে। বয়স্ক ভাতা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা ঐ ভাতা দিয়ে ওষুধ সহ হাত খরচের ব্যয় নির্বাহ করতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজের বাবাকে হারিয়ে দেশের বয়স্ক ব্যক্তিদের মাঝে বাবাকে খুঁজে পান। প্রতিমাসে ৫৫০ টাকার ভাতা বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তদের জন্যে বেঁচে থাকার অবলম্বন।
এটা তাদেরকে আত্মসম্মান দিয়েছে। সরকারের প্রণীত সুরক্ষা আইন, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং প্রতিবন্ধী বৃত্তির কারণে প্রতিবন্ধীরা এখন আর সমাজের বোঝা নয়, বাবা-মায়ের কষ্ট নয়। এসব সুবিধা ছাড়াও সকল পরিবহন এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে তাদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত। দেশে কোন পরিবারকে আর আশ্রয়হীন থাকতে হচ্ছে না, সকল ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ বাড়ি দেওয়া হয়েছে। ভিজিডি-ভিজিএফ কর্মসূচির মাধ্যমে অসহায় মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় আসলে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বন্ধ করে দেবে, যেমন করে তারা ২০০২ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল এবং এরআগে ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে উপজেলা পদ্ধতি বাতিল করে দেয়। অথচ এসব কার্যক্রম তৃণমূলের মানুষের সেবা প্রদানে অনন্য ভূমিকা পালন করছিল।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগনের দোর-গোড়ায় প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দিয়েছেন। শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় গ্রামগুলো এখন উন্নয়নের মুখরিত জনপদ। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে জনগনের জীবনমান উন্নয়নে সব রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। কোন রকমের অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। উন্নয়নের ধারা এবং সুশাসনকে অব্যাহত রাখতে আবারো শেখ হাসিনার পাশে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
রামানন্দ-খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ সরকার সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য