-->
শিরোনাম
বগুড়া-২

জাপার আসনে আ. লীগের একাধিক প্রার্থী, বিএনপি অপেক্ষায়

এনামুল হক রাঙ্গা, বগুড়া
জাপার আসনে আ. লীগের একাধিক প্রার্থী, বিএনপি অপেক্ষায়
বগুড়া-২ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন, সম্ভাব্য প্রার্থীরা আড়মোড়া ভেঙে জাগতে শুরু করেছে। প্রচার-প্রচারণা করা শুরু করেছেন এমপি পদের প্রার্থী হিসেবে। কে বা কারা নির্বাচন করবেন কোন নির্বাচনী এলাকায় তা জানিয়ে জনতার সামনে আশার ফুলঝুরি নিয়ে ছুটে চলছেন বিরামহীন। এরই মধ্যে দেশের প্রধানতম দুটি রাজনৈতিক দলের চূড়ান্ত নীতি নির্ধারণের দিকে তাকিয়ে আছে সংসদ সদস্য পদপ্রত্যাশী নেতারা।

 

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে সময় দিচ্ছেন নিয়মিত, সেক্ষেত্রে বিএনপির সম্ভাব্য পদপ্রত্যাশী নেতারা আছে দো-টানায়, কি হবে সামনে তাদের দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় যদিও তারা মাঠে ততটা সরব নয়। সময়ের অপেক্ষায় জানিয়ে দিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন আপাতত। ইতোমধ্যেই দুটি দলের এক দফা দাবি বিএনপিকে আরও চিন্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে, সেখানে দূরদেশ থেকে কি সিদ্ধান্ত আসে সেটিই তারা মেনে চলবেন। দেশের রাজনৈতিক দলের এমন কথার দোলাচলের মধ্যেও জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা।

 

এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে গিয়ে জয় লাভ করতে পারবে না। সে কারণে বিএনপি এখনই জাতীয় নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে না। লেভেল প্লেইং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচনের মাঠে নামবে না বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। দলীয় সিদ্ধান্ত যেমনই হোক। বিএনপির মধ্যেও অনেক নেতা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে মুখিয়ে আছেন। শুধুমাত্র দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে স্থানীয় বিএনপি। জেলায় দল গুছিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অপেক্ষা করছে বিএনপি।

 

বগুড়া বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বলে বগুড়া থেকে এবার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা আছে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। এসবের মধ্যে বিএনপি বগুড়ায় হারানো নিজেদের দুর্গ পুনরুদ্ধার করতে চায়। আর সেই দুর্গে হানা দিয়ে আবারও নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। আর জাপা-জাসদ তাদের আসন ধরে রাখতেও তৎপরতা চালাচ্ছে।

 

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে বগুড়ার ৭টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ দুটি, বিএনপি দুটি, জাতীয় পার্টি দুটি ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপির বর্জনের মধ্য দিয়ে বগুড়ার ৭টি আসনের দুটিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাসদ ও বাকি ৪ আসনে জাপার প্রার্থীরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৫টিতে বিএনপি ও দুটি আসনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছিল।

 

আগামী নির্বাচনে জেলার বগুড়া (২) শিবগঞ্জ সংসদীয় (৩৭) আসনে বর্তমানে আলোচনায় এসেছে একাধিক প্রার্থীর নাম।

 

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ্। তিনি এ আসনে আবারও দলের প্রার্থী হবেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট হলেও তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। নাগরিক ঐক্যের আহব্বায়ক সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন। এখানে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও বিএমএ বগুড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রেজাউল আলম জুয়েল, যুবলীগ নেতা সাবেক মোবাশ্বর হোসেন স্বরাজ, ব্যবসায়ী আকরাম হেসেন, শিবগঞ্জ পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক ও শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হকের নাম আলোচনায় রয়েছে।

 

অপরদিকে বিএনপি থেকে কারও নাম শোনা যায়নি কারণ দলীয় সিদ্ধান্ত এর অপেক্ষায় আছেন তারা তবে যাদের নাম আলোচনায় আছে তার মধ্যে অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী বগুড়া জেলা কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি।

 

এছাড়াও বিএনপি থেকে, এম আর ইসলাম স্বাধীন, মতিয়ার রহমান ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমানের কথা শোনা যাচ্ছে। তবে বহিষ্কৃত সাবেক বিএন পি নেত্রী বিউটি এবার শিবগঞ্জে আবারও দলে ভিড়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র এমপি পদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। 

 

এদিকে জাতীয় পার্টিকে বারবার ছেড়ে দেয়া আসনটি এবারে আওয়ামী লীগের জন্য চমক হিসেবে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার মেয়র ও আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী তৌহিদুর রহমান মানিক।

 

(১) শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, জাতীয় পার্টি,

(২) মীর শাহে আলম, বিএনপি

(৩) মাহমুদুর রহমান মান্না, নাগরিক ঐক্য

(৪)আকরাম হোসেন, আওয়ামী লীগ।

(৫) তৌহিদুর রহমান মানিক, আওয়ামী লীগ।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version