আওয়ামী লীগের আতঙ্কিত নেতাকর্মীদের মাঝে স্বস্তি দিতে পাতানো নির্বাচন খেলায় মেতেছে শেখ হাসিনা সরকার এমন মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ মহাবিপদে পড়েছে। দেশি-বিদেশি প্রচন্ড চাপে তারা এখন দেউলিয়া লীগে পরিণত হয়েছে।
তারা বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্য শেষ হলেই আওয়ামী লীগ নির্বাচন পেছাবে। কারণ এই নির্বাচন মূলত আওয়ামী লীগের ভোটের উদ্দেশ্যে নয়! এই নির্বাচন আমেরিকার স্যাংশন আতঙ্কে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার নির্বাচন।
রোববার দুপুরে টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন। জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দেশের চারদিকে দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস শুনতে পাচ্ছি। নিত্যপণ্যের বাজারে সাধারণ মানুষের চাপা কান্না সহ্য করা যাচ্ছে না। মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে জীবনযাপন করছে আর সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে একটি ভুয়া নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, দেশের জনগণকে জিম্মি করে সরকার নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকাদের দিয়ে নির্বাচনের নগ্ন খেলায় মেতেছে। এই সরকার শোষণবাজ বিদেশিদের হাতে আমাদের সার্বভৌমত্ব তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।
সম্প্রতি রাশিয়া ও ভারতের কূটনৈতিক বক্তব্যগুলো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে এবং তফসিল বাতিল করতে হবে। আমরা সংঘাত চাই না। আমরা জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই। আমরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সুশাসন ও টেকসই উন্নয়ন চাই।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান, ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের শামসুল আহাদ, ইসলামী ঐক্য জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস রেজা।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য