প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ আজকে বুধবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলটি কালভার্ট রোড থেকে শুরু করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টন হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে ৩ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হাসান বলেন, সরকার আমাদেরকে নানাভাবে চাপ দিচ্ছে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য; অপরদিকে লোভও দেখাচ্ছে। আমরা গণঅধিকার পরিষদ পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে আমরা অংশ নিবো না। রাজনৈতিক দলগুলোর ইমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। যারা ইমানের এই পরীক্ষায় পাশ করবে তারা ইতিহাস হবে, আর যারা সরকারের সাথে আঁতাত করবে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
এই সরকার এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে এমপি মন্ত্রিত্বের অফার দিচ্ছে নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, গণঅধিকার পরিষদ শেখ হাসিনার অধীনে কোন পাতানো নির্বাচনে যাবেনা। যতই চাপ আসুক, যতই নির্যাতন আসুক আমরা প্রয়োজনে কেরানীগঞ্জ কারাগারে যাবো, তবুও এই সরকারের পাতানো ফাঁদে পা দিবোনা। সরকার এখন লাগামছাড়া পাগলা ঘোরার মতন আচরণ শুরু করেছে। তারা যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক কর্ণেল অব. মিয়া মসিউজ্জামান বলেন, সরকার এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কেনা-বেচা শুরু করেছে। বর্তমান এই শেখ হাসিনার সরকার হলেন নব্য রাজাকারের সরকার। যারা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবেন তারাও নব্য রাজাকার। আমরা গণঅধিকার পরিষদ এই নব্য রাজাকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নিবোনা।
গণঅধিকার পরিষদের নেতা শামসুদ্দিন বলেন, সরকার এখন দিল্লির উপর ভর করে ক্ষমতায় আসতে চাই। আমরা এই দিল্লির শাসন ঢাকায় চলতে দিবোনা। ঢাকায় চলবে বাংলাদেশের জনগণের শাসন। আমরা আশ্চার্য হচ্ছি বিরোধী দল থেকে অনেকেই এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাচ্ছে। সরকার গণতান্ত্রিক একটা ফ্লেভার দেখিয়ে নির্বাচন আয়োজ করতে যাচ্ছে। অবশ্য কিছু পথভ্রষ্ট লোক সরকার বিরোধী আন্দলন থেকে বের হয়ে যাওয়াতে আমরা ধীরে ধীরে নিশ্চিত হচ্ছি কারা সত্যিকার অর্থে আন্দোলন করছে। আন্দোলন থেকে বিষাক্ত রক্ত বের হয়ে যাওয়ায় আরো শক্তিশালী আন্দোলন করা সম্ভব হবে।
গণঅধিকার পরিষদের নেতা মোজাম্মেল মিয়াজির সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, গণনেতা তারেক রহমান, ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম, এডভোকেট শিরিন আকতার, জিয়াউর রহমান, আরিফ বিল্লাহ, জাকির হোসেন; ঢাকা মহানগর দক্ষিণের গণনেতা ইমাম উদ্দিন,ফায়সাল; গণঅধিকার পরিষদ উত্তরের গণনেতা আলামি আলি, আব্দুল্লাহ, শফিকল ইসলাম রতন, রানা; যুব অধিকার পরিষদের আহবায়ক সাকিব হোসাইন; ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসীর মাহমুদ প্রমূখ।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য