-->
শিরোনাম
সম্মিলিত নাগরিক সমাজের অভিমত

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য্য

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ বলেন, এর জন্য রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের দায়িত্ব বেশি।

 

তারা বলেন, জনগণের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে রাজনৈতিক পক্ষ বিদেশী শক্তিকে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিরসনের সুযোগ সৃষ্টি করলে তখন রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে।

 

এটি মূলতঃ রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের চরম দায়িত্বহীনতা। জনগণ নয় বরং রাজনৈতিক নেতৃত্বের চরম ক্ষমতা লিপ্সার জন্য যুগে যুগে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও রাষ্ট্রীয় চারনীতি মেনেই রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতি করতে হবে। স্বাধীনতার মূলনীতির বাইরে যারা থাকে তাদের সাথে লেভেল প্লেয়িং রাজনীতি হতে পারে না।

 

এদের সর্বক্ষেত্রে পরিহার করতে হবে। স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সার্বভৌমত্বের অন্যতম উপাদান উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, এর জন্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। হটকারি রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চলমান রাখতে হবে।

 

শনিবার সকালে কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ আয়োজিত ‘স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও রাজনৈতিক দায়িত্বশীলতা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন।

 

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.)।

 

বক্তারা বলেন, স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার এদেশের মানুষ সংরক্ষণ করে। এক্ষেত্রে বিদেশী হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তারা বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে যে সব বহিঃশক্তি বিরোধিতা করেছিল, তারাই বাংলাদেশের অগ্রগতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। অবরোধের নামে মানুষের স্বাধীন চলাফেরার পথে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারে না। এর জন্য রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সকল নাগরিককে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সহ-সভাপতি ও আইডিইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আক্তারুজ্জামান, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের পরিচালক ড. নিলুফার বানু, নাট্যব্যক্তিত্ব ম হামিদ, মসী মালিক চৌধুরী, ড. তৌফিক, ড. রফিকুল ইসলাম সিকদার, এ কে এম বোরহান উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আব্দুল মোতালেব, বিশিষ্ট্য সাংবাদিক কাশেম হুমায়ুন প্রমুখ।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version