আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয়। যারা এই নির্বাচনে বাধা দিতে আসবে ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নাশকতা করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত করা যাবে না। বিদেশি বন্ধুরাও বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই।’
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সমানে রেখে দেশের কোথাও সংঘাত-সংঘর্ষ বা সহিংসতা প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেছে? ঘটে নাই। যেটুকু হচ্ছে সেটুকু নাশকতা এবং বিএনপি ও তার দোসররাই করে যাচ্ছে। নাশকতা পরাজিত হবে, জনগণের শক্তির বিজয় হবে। যুগে যুগে, দেশে-দেশে এটাই প্রমাণিত হয়েছে আর বাংলাদেশেও এটার ব্যতিক্রম হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েই এ নির্বাচন বয়কট করছে। তারা স্বেচ্ছায় নির্বাচনে আসছে না। তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে জোর করব কেন? আর আওয়ামী লীগ সংবিধান মেনেই নির্বাচনে এসেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের যেসব প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা আপিলেও না টিকলে পক্ষপাত করবে না আওয়ামী লীগ। এক নির্বাচিত সরকারের কাছে আরেক নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে- এটাতে আওয়ামী লীগ প্রতিজ্ঞ।
১৪ দলের সঙ্গে আসন বন্টন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেগুলো যুক্তিযুক্ত, নির্বাচনে জেতার যোগ্য জোটের শরীক হলেও মনোনয়ন দিতে আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই। জোটের খাতিরে শুধু শুধু মনোনয়ন দিলে গণতন্তের প্রতি সুবিচার তো হলো না।
আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে কোনো সংঘাতের আশঙ্কা করছেন কি না প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কয়েক মাস ধরে এই ঢাকাতেই বিএনপি সমাবেশ করেছে, আমরাও করেছি। আপনারা তো (সাংবাদিক) পাল্টাপাল্টি বলে খবর করেছেন। কিন্তু পাল্টাপাল্টি মারামারি কোথাও হয়নি। এখানে এক দলের সঙ্গে অন্য দলের কোনো সংঘাত হয়নি। তারা পদযাত্রা করেছে আর আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করেছে। কিন্তু কোনো বিশৃঙ্খলা তো হয়নি। আর ১০ তারিখ হলো বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এদিনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছি। এখানে পাল্টাপাল্টির কী আছে? বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হবে, এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে কোনো পাল্টাপাল্টির বিষয় নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ওবায়দুল কাদের রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের জ্যেষ্ঠ্যপুত্র ও মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর জানাযায় অংশ নেন। এ সময়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ দলের সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুম দীপু চৌধুরীর কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
-বাসস
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য