সরকারের বিরুদ্ধে ‘না’ বলার জন্য জনগনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
রোববার সকালে প্রায় এক ঘন্টার মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এই আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ আজকে রাস্তায় নেমে পড়েছে, আজকে মিছিলে মিছিলে সারা বাংলাদেশ আপ্লুত। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যিনি বিএনপিকে সংগঠিত করে নতুন করে দাঁড় করিয়েছেন… তার আহ্বান, আপনারা যে যেখান থেকে পারেন সরকারের বিরুদ্ধে না বলুন, না বলুন, না বলুন। সরকারের কোনো কিছুতে অংশ গ্রহণ করবেন না। এমনকি দোকানপাট শ্রমিক যারা আছেন সবাই দোকান-পাট বন্ধ করে দিন, আপনাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করে দিন, আপনাদের বিয়ে-সাদীর পার্টিগুলো ছোট করে দিন।”
তিনি বলেন, ‘‘আজকে মনে রাখতে হবে… আজকে পেঁয়াজের দর ২২০ টাকা হয়েছে, আজকে জিনিসপত্রের দাম আগুন। আমাদের মানুষ না খেয়ে মরছে… এই নেতা-কর্মীরা যারা আজকে পরিবারের সাথে থাকতে পারছে না, যারা আজকে বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের কথা চিন্তা করে আপনারা আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আপনারা দেখবেন অতি শিগগিরই এই জনগন এই সরকারের পতন ঘটাবে।”
সেলিমা রহমান বলেন, ‘‘ জনগনের প্রতি আহ্বান রইল আপনারা নেমে আসুন। নেমে এসে প্রতিরোধে-প্রতিবাদ গড়ে তুলুন। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। তারা(ক্ষমতাসীনরা) লাঠিয়াল বাহিনী, হেলমেট বাহিনী তৈরি করে জনগনের ওপর অত্যাচার করছে। এটা বেশি দিন চলবে না।”
টানা এক মাসের বেশি সময় হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি বাদ দিয়ে রোববার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফুটপাতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনে দাঁড়ায়। মুহুর্তের মধ্যে মানববন্ধনে হাজারো নেতা-কর্মীর ঢল নামে। ১২টার আগেই নেতারা বক্তব্য দিয়ে মানববন্ধন শেষ করেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টো কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, তাসসিনা রুশদীর লুনা, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, রেহানা আখতার রানু, মীর নেওয়াজ আলী, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সিনিয়র নেতা রুহুল আমিন গাজীর নেতৃত্বে আলাদা মানবন্ধন করে। সেখানে পেশাজীবী নেতারা বক্তব্য রাখেন। এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ কাওরান বাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অফিসের সামনে, ১২ দলীয় জোট, গণধিকার পরিষদ(নূর) বিজয়নগরে পানির ট্যাংকের সামনে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট পুরানা পল্টনে আল-রাজী কমপ্লেক্সের সামনে, এলডিপি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, গণফোরাম-পিপলস পার্টি কদম ফোয়ারার কাছে, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, জাতীয় প্রেসক্লাবের উল্টো দিকে, এলডিপি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, লেবার পার্টি তোপখানা রোডে মেহরাব প্লাজার সামনে, গণঅধিকার পরিষদ(রেজা কিবরিয়া) পুরানা পল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে, এবি পার্টি বিজয় নগরে ৭১ হোটেলের সামনে আলাদা আলাদাভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি করে।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য