-->
শিরোনাম

মুখোমুখি নৌকার মাঝি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

নিখিল মানখিন
মুখোমুখি নৌকার মাঝি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

জমে উঠেছে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। মুখোমুখি নৌকার মাঝি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা। নৌকার মাঝি এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী-উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মুখ থেকেই বের হচ্ছে ‘ জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান। উভয় পক্ষের নেতাকর্মীর সকলেই আওয়ামী লীগ এবং তার ভ্রাতৃপ্রতিম ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মী। তবে অনেক নির্বাচনী এলাকায় নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ বাড়ছে। নৌকার বিজয় পূর্ব নির্ধারিত-এমন অপপ্রচার করার চেষ্টাও চলছে। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি হ্রাস পেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

 

সারাদেশ বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী আবহ যেন বহুগুণ বেড়েছে। পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে যাচ্ছে এলাকা। শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী মাইকিং। নির্বাচনী এলাকাগুলোতে কেন্দ্র কমিটি গঠন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মিটিং-মিছিলের পাশাপাশি চলছে মোটর সাইকেলের শোডাউন। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বক্তব্য থেকে বের হচ্ছে ‘ আওয়ামী লীগ আপনাকে দিয়েছে নৌকা, আমাকে দিয়েছে অনুমতি’, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ সহ আওয়ামী লীগ পরিবারের নানান স্লোগান। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এমন শ্লোগান মেনে নিতে নারাজ নৌকার মাঝি ও তাদের সমর্থকরা। ফলে অনেক নির্বাচনী এলাকায় হামলা ও পাল্টা হামলা এবং হুমকি প্রদানের অভিযোগ বেড়েই চলেছে।

 

এদিকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্টকারী এবং বিশৃঙ্খলাকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনসভায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভাইবোনেরা একসঙ্গে থাকবেন, ঝগড়া করবেন না। স্বতন্ত্র তার নির্বাচন করবেন, নৌকা নৌকার নির্বাচন করবে। কারও সঙ্গে কারও ঝগড়ার দরকার নেই।’

 

কাদের বলেন, ‘এই নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য স্বতন্ত্রদেরও আমাদের নেত্রী প্রার্থী হতে বলেছেন। এতে কারও কিছু হারাবার নাই। নৌকার নিজের শক্তি আছে, ভয় পান কাকে?’তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি এলাকায় এমপি থাকতে নিজের জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেন তখন সেখানে স্বতন্ত্র ঢুকে গেলে আমরা কী করবো? কী করার আছে আমাদের? কাজেই নৌকার ইজ্জতও নৌকার প্রার্থীদের রাখতে হবে।’

 

সম্প্রতি আরেকটি অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যার পক্ষে খুশি কাজ করবে, এটা তাদের ইচ্ছা’ বলে জানিয়েছেন দলের। নির্বাচনে কারো পক্ষে কাজ করতে বাধা নেই। আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করছে না। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো সংবিধান ও দেশকে রক্ষা করা।

 

ভোরের আকাশ/অ

মন্তব্য

Beta version