আওয়ামী লীগের ‘ভোট ব্যাংক’ হিসেবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের সঙ্গে নৌকার প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের অনেকেই আছেন। জাতীয় পার্টির শাহানুল করিম স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জানকে সমর্থন জানিয়ে মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন। বিএনপি ছাড়া এ নির্বাচনে দলটির নাসিরনগর উপজেলার প্রধান নেতৃত্বের বাইরে তৃণমূলের প্রায় সবটাই একরামুজ্জামান সুখনের পক্ষে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে মাঠে রয়েছে।
ভোটারদের ভাষ্যমতে, এ আসন থেকে ফরহাদ ছাড়াও ৮জন নৌকার মাঝি হতে চেয়েছিলেন। এই ৮জনের মধ্যে ৪/৫জন প্রকাশ্যেই একরামুজ্জামানকে শক্তি যোগাচ্ছেন। মাঠে এমন আওয়াজও আছে, তার জন্যই জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহাম্মদ শাহানুল করিম সরে গেছেন। শিল্পপতি একরামুজ্জামানের এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং কর্মসংস্থানের বিষয়টিও তরুণদের আকৃষ্ট করছে বলে মনে করছেন অনেকে। সাবেক মৎস্য মন্ত্রীর মৃত্যুর পর দুই মেয়াদে প্রায় ৬ বছর সংসদ সদস্য ছিলেন ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। এই সময়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব তাকে এবারের ভোটে ভোগাবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের একটি অংশ।
হাওর বেষ্টিত নাসিরনগরে এবারের নির্বাচনে মোট ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য ৩ জন হলেন, জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ শাহানুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন (হাতুড়ি)। নৌকা বাদে অন্যদের তেমন কোনো প্রচারে নেই বলেই জানান এলাকাবাসী।
নাসিরনগর উপজেলা সদরের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি আর নৌকার পোস্টারেই সয়লাব। ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম আর একরামুজ্জামান দুজনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উঠান বৈঠক, গণসংযোগ, মিটিং-মিছিল করছেন। দুপুরের পর থেকে চলছে মাইকিং। নাসিরনগরে সবসময়ই আওয়ামী লীগের অবস্থান শক্ত। এখানে উল্লেখযোগ্য হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট রয়েছে। আওয়ামী লীগের সেই ভোট ব্যাংক ফরহাদের পক্ষে অটুট থাকবে এমনটা মনে করেন তার অনুসারীরা।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একরামুজ্জামান বলেন, 'বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে আবার বিএনপি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যারা ক্ষমতায় আছে তারা এসব মামলা করেছে। এসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা। এসব মামলা থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে চাই।'
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য