দিনাজপুর-৪ (খানসামা- চিরিরবন্দর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (নৌকা) ও চিরিরবন্দর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তারিকুল ইসলাম তারিক (ট্রাক) এর মধ্যে তীব্র লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
প্রতিদিনই হেভিওয়েট এই দুই প্রার্থী গ্রামগঞ্জে, হাটে-বাজারে, রাস্তাঘাটে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। এই দুই প্রার্থী প্রতিদিন নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের দিয়ে যাচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। এ আসনে আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী, জাতীয় পার্টি, ন্যশনাল পিপলস পার্টিসহ মোট ৪ জন প্রার্থী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিএনপি নির্বাচনে না আসায় বিএনপির কিছু অংশ স্বতন্ত্রকে ভোট দিতে পারেন, তাই নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্রের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। জাতীয় পার্টিসহ ৪ জন প্রার্থী মাঠে থাকলেও নৌকার প্রার্থী ও ট্রাকের প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা হবে বলে ধারণা করছেন ভোটাররা। আসনটিতে পোস্টার, মাইকিং, সভা-পাল্টা সভায় ভোট অনেকটা জমে উঠেছে।
ভোটার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকারের সময় সারা দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু দিনাজপুর ৪ আসনে সেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দলীয় নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ, কারও জন্য তেমন কাজে আসেননি তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এতে দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। দলের নেতাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোটের মাঠে সরব। এছাড়া সরকার বিরোধী বিএনপি-জামায়াতের ভোট ব্যাংকও স্বতন্ত্রের দিকে গড়াতে পারে।
দিনাজপুর-৪ আসনে ১৯৮৬ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচবার আওয়ামী লীগ, একবার বিএনপি, একবার ওয়ার্কার্স পার্টির থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
মন্তব্য