পিরোজপুর- ১ আসনে (নাজিরপুর, পিরোজপুর সদর ও ইন্দুরকানী) নৌকা জিতাতে একট্টা এলাকাবাসী । জেলার সদর আসন রক্ষা এবং এলাকার উন্নয়ন সহ দলের অস্তিত্ব রক্ষায় নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী এমন একট্টা হয়েছে।
জানা গেছে, পিরোজপুর জেলায় ৩টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে পিরোজপুর-১ টিতেই আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিমকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ) আসনে জোটের শরীক দল জেপি এর চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) এ জোটের অন্য শরীক দল জাতীয় পার্টি (এরশাদ) এর প্রার্থী হিসাবে দলের চেয়ারম্যানে উপদেষ্টা মারসেকুল আজমকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান ফুলু বলেন, পিরোজপুরের ৩টি সংসদীয় আসনের মধ্যে একমাত্র পিরোজপুর-১ আসনটিতে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। বাকী ২টিতেই শরীক দলের প্রার্থীদের ছেড়ে দিতে হয়েছে। তাই দলের অস্তিত্বের প্রশ্নে পিরোজপুর-১ আসনটিতে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী শ.ম রেজাউল করিমকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন।
পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এসএম বায়েজিদ হোসেন বলেন, গত একাদশ সংসদ নির্বাচনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম এমপি হয়ে ৫ বছরে এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সহ যে উন্নয়ন হয়েছে তা স্বাধীনতার পর এর আগের ৪৮ বছরেও হয় নি। তা ছাড়া এর আগে পিরোজপুরের সাধারন মানুষ একটি পরিবারের সন্ত্রাস ও নির্যাতনের কাছে জিম্মি ছিলো। শহরের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণীর মানুষকে চাঁদা দিতে হতো। গত ৫ বছর এলাকাবাসী এমন অবস্থার রেহাই পেয়েছেন।
জেলা হিন্দু বৌদ্ধ্য খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি জ্যোর্তিরময় হালদার বাবুল বলেন, নৌকার প্রার্থী শ.ম রেজাউল করিম একজন অত্যান্ত ভদ্র ও অহংকারহীন অসাম্প্রদায়ীক লোক। দিন রাত যে কোন সময় তার সাথে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা যায়। তাই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনও তাকে অত্যান্ত পছন্দ করেন।
জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ হাওলাদার বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে একটানা ক্ষমতার কালে ইন্দুরকানীর তেমন কোন উন্নয়ন হয় নি। এ সময়ে দুবার এমপি ছিলেন আউয়াল ও একবার আনোয়ার হোসেন মঞ্জু । কিন্তু আউয়ালকে দিয়ে হয়েছে তার নিজের (পকেট) উন্নয়ন আর মঞ্জুকে দিয়ে হয়েছে তার নিজ এলাকার (ভান্ডারিয়া) উন্নয়ন। এলাকার উন্নয়নের আশায় এবার আমরা শ.ম রেজাউলকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে চাই।
জেলার নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অ্যাড. নির্ঝন কান্তি বিশ্বাস বলেন, আ.লীগের দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষা ও এলাকার উন্নয়নের নৌকার প্রতীকের প্রার্থী শ.ম রেজাউলের পক্ষে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ।
জেলার নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাসানাত ডালিম বলেন, উন্নয়ন বঞ্চিত কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নে গত ৫ বছরের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নাজিরপুরের সন্তান শ.ম রেজাউল করিমকে আবারও এমপি বানাতে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ।
উল্লেখ্য, পিরোজপুর-১ আসনে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবকে এমপি জেলা একেএমএ আউয়াল । আউয়াল ও তার স্ত্রী দুদকের পৃথক ৩টি মামলা থাকায় গত দুইবারই সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য