-->
শিরোনাম

ঢাকা- ৬ আসনে ভোটার উপস্থিতি কম

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা- ৬ আসনে ভোটার উপস্থিতি কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে চলমান এই নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনের কেন্দ্রগুলোতে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রেই নৌকা ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীর কোনো এজেন্টের দেখা পাওয়া যায়নি। এমনকি ভোটও পড়েছে তুলনামূলক বেশ কম।

প্রিজাইডিং অফিসাররা বলছেন, প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট যদি না আসে, সে দায় আমাদের নয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে ভোটের হার।

 

আজ রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ঢাকা-৬ আসনের বংশাল এলাকার একাধিক ভোট কেন্দ্রে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।

 

জানা গেছে, ঢাকা-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭টি রাজনৈতিক দলের মোট ৭জন প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। এই আসনে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন হামিদুর রেজা খান ভাসানী (আম), সিরাজুল আলম (পাট), আমিনুল ইসলাম সরকার (মাছ), সৈয়দ নাজমুল হুদা (সাইকেল)। এর আগে শুরুতে ভোটের ঘোষণা দিলেও সাঈদ খোকনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে সরে দাঁড়ান জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং এ আসনের দুই বারের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে নাজিরা বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নাজিরা বাজার ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং অল- কেয়ার প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড হাইস্কুলের কেন্দ্রগুলোতে শুধু নৌকা প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা বসে ভোটারদের জন্য অপেক্ষা করছেন। সাধারণত প্রতিটি বুথে একটি দলের একজন এজেন্ট থাকার কথা থাকলেও কোনো কোনো বুথে একাধিক নৌকার পোলিং এজেন্ট দেখা গেছে।

 

অল-কেয়ার প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড হাই স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, বেলা ১০টা পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে মোট ভোট পড়েছে ৭৬টি। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ১ হাজার ৮৭২ জন, যেখানে সবাই পুরুষ ভোটার। সকাল থেকে এই কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে নৌকার প্রার্থীর এজেন্ট থাকলেও অন্য কোনো দলের এজেন্ট দেখা যায়নি।

 

প্রিজাইডিং অফিসার ইমদাদুল ইসলাম ভোরের আকাশকে বলেন, আমাদের কেন্দ্রে সকাল-সকাল ভোটার উপস্থিতি একটু কম। ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মোট ৭৬টি। আশা করছি ১১টার পর ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাড়বে।

 

পোলিং এজেন্টের উপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের এখানে নৌকা ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর এজেন্ট এখন পর্যন্ত আসেনি। এখন যদি আমাকে বলেন কেন আসেনি, আমি বলব এটা আমার দেখার বিষয় নয়।

 

নাজিরা বাজার ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, আমার কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক হাজার ৭০৪ জন, পুরুষ ভোটার এক হাজার ৮২৫ জন। এই ভোট কেন্দ্রেও পাওয়া যায়নি নৌকা ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট।

 

কেন্দ্রটির কয়েকটি বুথে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। ২নং বুথে ভোট পড়েছে ১২টি, যদিও ওই বুথে মোট ভোটার ৪৩২ জন। ৩নং বুথে ভোট পড়েছে ৮টি, মোট ভোটার ৪৩১ জন। ৪নং বুথে ভোট পড়েছে ৬টি, মোট ভোটার ১০০জন। এ ছাড়া, ৫নং বুথ ভোট পড়েছে ২২টি, মোট ভোটার ৬০৯ জন।

 

কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা এহসান আহমেদ ভোরের আকাশকে বলেন, আমাদের কেন্দ্রে সবগুলো বুথেই নৌকার পোলিং এজেন্ট রয়েছে। এর বাইরে অন্য আরেকটি দলের একজন এজেন্ট এসেছে বলে জেনেছি। কিন্তু সবমিলিয়ে অন্যান্য দলের এজেন্টরা কেন আসলে না, সেটা তো আমি বলতে পারব না। আমার দায়িত্ব শুধু সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করা।

 

এদিকে নাজিরা বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। ভোটার সংখ্যা কমের পাশাপাশি অন্য কোনো দলের পোলিং এজেন্টের উপস্থিতি সেখানে দেখা যায়নি।

 

কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ মনসুর আলম বলেন, পুরান ঢাকার মানুষের অন্যতম একটি ঐতিহ্য হচ্ছে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা। এজন্যই হয়ত ভোট তুলনামূলক কম। তা ছাড়া, গত কিছুদিন যাবৎ সকাল-সকাল শীতটা একটু বেশি। আশা করছি ১০টার পর ভোটার উপস্থিতি আরো বাড়বে।

 

এজেন্ট সংখ্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নৌকার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো দলের এজেন্ট আসতে দেখিনি। তারা কেন আসেনি, সেটাও বলতে পারব না।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version