-->
শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩

‘মাঠে নামিয়ে কি খেলা খেলল বুঝলাম না’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
‘মাঠে নামিয়ে কি খেলা খেলল বুঝলাম না’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও ভোটের সময় শেষ হওয়ার ২৬ মিনিট আগে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন।

 

রোববার (৭ জানুয়ারি) বেলা ৩টা ৩৪ মিনিটে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি নির্বাচন প্রত্যাখান করার কথা জানান।

 

ফিরোজুর রহমান লাইভে এসে বলেন, ‘এটা কি একটা খেলা খেলল, বুঝতে পারি নাই। আমাদেরকে মাঠে নামায় দিয়া তারা তাদের কাজ করছে। আমি ঘৃণা জানাচ্ছি। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, নির্বাচন আমি প্রত্যাখান করলাম। নির্বাচন স্থগিত করে পুনরায় নির্বাচনের জন্য নিবেদন জানাই। আপনারা দেখেছেন, সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় কেউ আমাকে সহযোগিতা করে নাই। ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি এ নির্বাচনকে।’

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এমন কোনো জায়গা নাই, কোনো জায়গাতেই আমরা দাঁড়াতে পারি নাই। প্রশাসন যে বলছিল সহযোগিতা করবে, তারা কিছুই করে নাই। আমার জীবনে ১৪টি নির্বাচন দেখলাম। আমার লোকজনকে মারধর করল। বের করে দিলো। আমি গিয়ে ধরলাম, পুরো বই ছাপালো। ছিঃ, এরকম নির্বাচন দিবে ভাবতেও পারি নাই! জেলা প্রশাসকের কাছে বন্ধ করতে বলছি। উনি করে নাই। এটা জাতির জন্য বিরাট কলঙ্ক হয়ে গেল। আপনারা যেহেতু সুষ্ঠু নির্বাচন চান, বন্ধ করেন। এইভাবে জনপ্রতিনিধি হলে তাদের কাছ থেকে জাতি কি আশা করতে পারে। আমরা বিশ্বাস করছিলাম নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন দিবে। মানুষ নেতা হতে চায়। এমন জঘণ্যভাবে হতে চায়, ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।’

 

এর আগে দুপুরে এই আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিতের দাবি জানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের ছেলে ও তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ ওমর ফারুক জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

 

লিখিত অভিযোগে শেখ ওমর ফারুক বলেন, প্রায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের দলীয় নেতাকর্মীরা জোরপূর্বক কেন্দ্র দখল করে তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে ব্যালটে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করছেন। এছাড়া প্রশাসন ও আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েও সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন ওমর ফারুক।

 

স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। আমি এবং পুলিশ সুপার কেন্দ্র কেন্দ্র ঘুরেছি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, রোববারের ভোটে এ আসনটিতে ৩০ ভাগের বেশি ভোট পড়ার খবর পাওয়া গেছে।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version