ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনের ৪টিতে আওয়ামী লীগ এবং ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছেন। কলারছড়ি নিয়ে জয়ী হয়েছেন হেভিওয়েট দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। সর্বোচ্চ ৭৬ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে জেলায়; এটি ৬ আসনের বাঞ্ছারামপুরে। আর ভোট কম কাস্ট হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনে। প্রায় ৩৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয় আসন দুটিতে।
রোববার রাত ১১ টা নাগাদ জেলার সবকটি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কলারছড়ি প্রতীকের সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগের বি এম ফরহাদ হোসেন (সংগ্রাম) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২(সরাইল- আশুগঞ্জ) আসনেও বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী কলারছড়ি প্রতীকের মঈন উদ্দিন মঈনকে। তার প্রাপ্ত ভোট-৮৪০৬৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন ৫৫৪৩১ ভোট। তৃতীয় লাঙ্গল প্রতীকের রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া পেয়েছেন ৩৪০৮ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ১লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের ফিরোজুর রহমান (ওলিও) পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী, আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হককে। তিনি পেয়েছেন ২লাখ ২০৬৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান, আম প্রতীকে পেয়েছেন ৬৫৮৬ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫(নবীনগর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান বাদল। তিনি পেয়েছেন ১লাখ ৬৫৬৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির মো. মোবারক হোসেন পেয়েছেন ৩৩৭৮ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬(বাঞ্ছারামপুর) আসনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ক্যাপ্টেন অব. এ বি তাজুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির অ্যাড. মো. আমজাদ হোসেন পেয়েছেন ২৮১৭ ভোট।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য