মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী রেজাউল হক। ৬০ বছর ধরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত কুপন বিক্রি করে আওয়ামী লীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটিকে অর্থের যোগান দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে মাগুরায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর আওয়ামী যুবলীগের মাগুরার সভাপতি হিসেবে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাবাস করেছেন।
৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী রেজাউল হক। তবুও ভাগ্যের শিঁকে ছেড়েনি। স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়েও বারবার বঞ্চিত হয়েছেন তিনি।
এবার বাবা নয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী রেজাউল হকের মেয়ে অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমীন মালতী দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ঝিনাইদহ-মাগুরা (২৭) সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ফারজানা ইয়াসমীন মালতী বলেন, আমার বাবা ১১ দফার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৭০-৭১ সালে সভাপতি হিসেবে মাগুরা মহাকুমা ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকাকালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবেও কাজ করেছেন। আমার বাবা মাগুরা যুবলীগের সভাপতি ও কৃষক লীগের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মেয়াদে সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটিরও সদস্য।
তিনি বলেন, ৬০ বছরের বেশি সময় রাজনীতি করেও বাবা স্থানীয় কিংবা জাতীয় কোনো পর্যায়ে দলীয় মনোনয়ন পাননি। এ কারণে আমি এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ঝিনাইদহ-মাগুরা (২৭) সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নপত্র কিনেছি। আশা করি, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এ অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দেবেন।
ফারজানা ইয়াসমীন মালতী ছাত্রজীবনে জেলা ছাত্রলীগ ও কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে মাগুরা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের একজন কর্মী। মাগুরার স্বাধীনতার স্বপক্ষের প্রথম আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠবীথির অন্যতম সদস্যও তিনি। তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত মালতী।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য