সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনসহ সাবেক চার সংসদ সদস্যের অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হওয়া অন্য সাবেক সংসদ সদস্যরা হলেন ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান, বগুড়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, মো. জাকির হোসেন নিজ নামে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ১০ শতাংশ জমিসহ দোতলা বাড়ি; রৌমারীতে ৩ দশমিক ২৮ একর জমিতে মার্কেট ও চাতাল করেছেন। বিভিন্ন ব্যাংকে ও ব্যবসায় বিনিয়োগসহ তার নামে পাঁচ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধভাবে কুড়িগ্রামে ২৬টি বিদ্যালয় শিশু কল্যাণ ট্রাস্টে অন্তর্ভুক্তির জন্য অনুমোদন দেন। এছাড়া দেশে-বিদেশে তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাশাপাশি ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নানা দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তিনি নিজের, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার ছেলে আবির হাসান তানিমের নামে কানাডার বেগম পাড়ায় ১৫ লাখ ৫০ হাজার কানাডিয়ান ডলারে বাড়ি কিনেছেন। এছাড়া দেশ-বিদেশে তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের গোয়েন্দাদের হাতে রয়েছে। অন্যদিকে বগুড়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম তালুকদারের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ কাজ শেষ না করে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট কেনাসহ স্ত্রী ও সন্তানদের নামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া দেশ-বিদেশে তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে বের হয়ে আসার তথ্য রয়েছে। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।
তিনি নিজের, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য রয়েছে। এছাড়া দেশে-বিদেশে তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য