হুসেইন মুহাম্মদ (এইচ এম) এরশাদের হাতে গড়া রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি (জাপা) এখন অস্তিত্ব সংকটে। জন্ম থেকেই ক্ষমতার সঙ্গে থাকা জাপা নেতারা সব আমলেই ক্ষমতার ‘সুবিধাভোগী’ হলেও গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বেশ বেকায়দায় পড়েছে দলটি। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের চার মেয়াদের শেষদিন পর্যন্ত জাপা নেতারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার থাকায় সংকটে পড়েছে দলটি।
গত চারটি সংসদে জাপা থেকে যারা মন্ত্রী-এমপি হয়েছিলেন তাদের বেশিরভাগ গা ঢাকা দিয়েছেন। কেউ কেউ প্রকাশ্যে থাকলেও এখন ‘সুশীল’র ভূমিকায়। ফলে রাজনৈতিক মাঠে খোঁজ নেই দলটির নেতাকর্মীদের। এদিকে স্বৈরাচারের সহযোগী আখ্যা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জাপা ও দলটির নেতাদের বিচারও দাবি করেছেন। এমনকি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার তৃতীয়দফা সংলাপে জাপা যাতে ডাক না পায় সে জন্য দাবি করেছেন দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। এমন অবস্থায় গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বসলেও জাপাকে ডাকা হয়নি। গত কয়েক সংসদে প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে জাপা দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল হলেও সমন্বয়কদের দাবির মুখে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপে দলটি ডাক না পাওয়ায় তা নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছে। এমন প্রেক্ষাপটে দলটি নতুন করে সংকটের মুখে।
তবে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের পক্ষে সাফাই যুক্তি দিতে ব্যস্ত জাপা নেতারা। দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলছেন, দলের অস্তিত্ব বাঁচাতে শেখ হাসিনার অধীনে ভোটে যেতে বাধ্য হয়েছেন তারা। আর মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, জাপাকে জোর করে নির্বাচনে আনা হয়েছিল। তবে জাপা নেতাদের এ বক্তব্য মানতে নারাজ অনেকেই।
জানা গেছে, ১/১১ পরিস্থিতির পর ২০০৮ সালে এইচ এম এরশাদের জাপা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেয়। ওই নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে দলটির কয়েকজন নেতা মন্ত্রী পরিষদের স্থান পান। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াতসহ দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে নামে। সেই প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেন এরশাদ। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে গেলে মানুষ তাকে ‘জাতীয় বেঈমান’ মনে করবেন। ওই ঘোষণার পর অজ্ঞাত কারণে তাকে অসুস্থ দেখিয়ে সিএমএইচে ভর্তি করানো হয়। পরে তার স্ত্রী রওশন এরশাদকে দিয়ে ভোটে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। জাপার বর্তমান চেয়ারম্যান ও তৎকালীন প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদেরও শেষ পর্যন্ত ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন দলটির অপর অন্যতম নেতা কাজী জাফর আহমদ। শুধুই এখনেই তামেননি কাজী জাফর। তিনি দলের বিশেষ কাউন্সিল ডেকে এরশাদকে দল থেকে বহিষ্কার করেন এবং জাতীয় পার্টি নামে নতুন দল গড়েন। এরপর কাজী জাফর যোগ দেন বিএনপি জোটে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোট ভোট বর্জন করলে একতরফা ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আর জাপা সরকারে থাকার পাশাপাশি জাতীয় সংসদের বিরোধী দল নির্বাচিত হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জাপা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকেই ভোটে আসে। ওই একতরফা ও পাতানো ভোটে জাপাকে সংসদের প্রধানবিরোধী দল বানোনো হয়। ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও একতরফা আখ্যা দিয়ে তা বর্জন করে বিএনপি-জামায়াতসহ দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। সে সময় জাপা ক্ষমতার মোহে শেখ হাসিনার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যায়। মাত্র ১১ আসন নিয়ে দলটি বিরোধী দলের আসনে আসীন হয়। ওই নির্বাচনের আসন ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে ফের জাপার বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও তার ভাবি রওশন এরশাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করে। ভোটের পর ফের জাপায় ভাঙন আসে। রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান করে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার নেতৃত্বে নতুন জাপা গঠিত হয়। বারবার এভাবে ভাঙন আর নেতাদের সকাল-বিকেল সিদ্ধান্তহীনতায় অনেকে জাপাকে এখন ‘সার্কাস পাটির্’ হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন।
চলতি আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার পতনের শেষ দিন পর্যন্ত জাপা আওয়ামী লীগ সরকারের লেজুড়বৃত্তি করেছে। সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের মতন জাপা এখন চরম বেকায়দায় পড়েছে। বিশেষ করে দলটির সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা জনরোষে পড়ার ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। আবার দলটির অনেক নেতা এখন কথিত ‘সুশীল’র এর ভূমিকা পালন করছেন।
জানা গেছে, সরকার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে তিনবার রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপ করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরপরই অনুষ্ঠিত সংলাপে জাপাকে ডাকা হয়। যেখানে দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ পাঁচ নেতা অংশ নেন। এর গত ৫ অক্টোবর ফের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
জানা গেছে, সংলাপে এখনো আমন্ত্রণ পায়নি জাতীয় পার্টি (জাপা)। জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না তা জানা না গেলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। গত ৭ অক্টোবর মধ্যরাতে এক ফেসবুক পোস্টে সারজিস লিখেছেন, ‘জাতীয় পার্টির মতো মেরুদণ্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালালদের প্রধান উপদেষ্টা কীভাবে আলোচনায় ডাকে?’
অনেকটা একই ধরনের স্ট্যাটাসে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করবো। দুই সমন্বয়কের স্ট্যাটাসের পর বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় আসে। দেশের সিংহ ভাগ মানুষই জাপাকে স্বৈরাচার ও স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে বিচার চেয়েছেন।
তবে, জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সংলাপে ডাক পাওয়া কিংবা না পাওয়ার বিষয়টিকে তেমন বিবেচনায় নিচ্ছেন না। তার কথা, ডাকা না ডাকা সরকারের বিষয়। তারা তাদের মতো করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবেন বলে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন।
এ বিষয়ে দৈনিক ভোরের আকাশকে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা শেষ সংলাপে ডাক পেয়েছিলাম। তখন পাঁচজন গিয়ে মিটিং করেছি। এবার যে সংলাপ হবে সেটার ডাক এখনো পাইনি। উনারা প্রয়োজন মনে করলে ডাকবে, আর প্রয়োজন মনে না করলে ডাকবে না। এটা উনাদের বিষয়। তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময় কোন ধরনের পরিস্থিতিতে জাতীয় পাটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, তা ব্যাখ্যা করেন চুন্নু। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে সকল দল নির্বাচনে এসেছে। ২০১৪ সালে আমাদের নেতা নির্বাচনে যাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারপর একটা পর্যায়ে এসে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। তখন উপজেলাসহ বিভিন্ন নির্বাচন হয় সেখানে কিন্তু বড় বড় দলগুলো অংশগ্রহণ করেছে। ২০১৮ সালে আমরা যেমন পার্লামেন্টে ছিলাম তেমন বিএনপিসহ বিভিন্ন দল কিন্তু চার বছর পার্লামেন্টে ছিল। এরপর ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করে। আমরা কী অবস্থায় নির্বাচনে এসেছি তা আমাদের চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলন করে স্পষ্ট করেছেন। মূলত জাতীয় পার্টিকে জোর করে নির্বাচনে আনা হয়েছে। জাপাকে স্বৈরাচার বলার যৌক্তিকতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদের সম্পতি গণমাধ্যমকে বলেছেন-২০১৪ সালের পর থেকে তার দলে অন্যায়ভাবে-বেআইনিভাবে একটি গ্রুপ তৈরি করে আওয়ামী লীগ সব সময় ব্ল্যাকমেল করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে এবং যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে ওই গ্রুপ তৎপর হতো। আমাদের দলের প্রতীক ও মালিকানা ওই গ্রুপের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হতো। ফ্যাসিজমের অত্যাচারের যে কথা বলা হয়, জাতীয় পার্টি দলগতভাবে তার বেশি শিকার। সে পরিস্থিতিতে দুই ভাগ করা পার্টি যখন ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারছে না, তখন দলকে বাঁচিয়ে রাখা এবং একই সঙ্গে আমাদের সিদ্ধান্তের কারণে নিজেদের দৈহিক বা অন্য সব দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয় সে প্রেক্ষাপটে আমরা নির্বাচনে এসেছিলাম।
এ বিষয়ে জি এম কাদের দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, সবশেষ নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত আমরা নির্বাচনে না যাওয়ার চেষ্টা করেছি। যা পরিষ্কারভাবে অনেকেই জানেন। কিন্তু কেন নির্বাচনে আসতে হয়েছে সেটিও আপনাদের বুঝতে হবে। অস্তিত্ব রক্ষা করতে গিয়ে জাপা আরো সংকটে পড়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলকে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে চলতে হবে। ইনশাআল্লাহ জাপা মানুষের ভালোবাসায় টিকে থাকবে। তিনি বলেন, ছাত্রদের দাবি মেনে নেয়ার জন্যে আমরা সংসদে কথা বলেছি। ছাত্রদের দাবির পক্ষেই আমরা সবসময় ছিলাম।
তবে জাপার শীর্ষ নেতাদের এ বক্তব্য মানতে নারাজ বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও মাহমুুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ওপর নির্বাচনে যেতে সরকারের চাপ থাকলেও তারা তো ভোটে যাননি। তাদেরতো ভোটে নিতে পারেনি আওয়ামী লীগ। কিন্তু জাপাতো ঠিকই নির্বাচনে গেল।
মূলত ১৯৮২ সালে ক্ষমতা দখলের পর এইচ এম এরশাদ ১৯৮৪ সালে ‘জনদল’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ১৯৮৫ সালে এরশাদ তার জনদল, বিএনপির একাংশ, ইউপি পি, গণতান্ত্রিক পার্টি এবং মুসলিম লীগের সমন্বয়ে গঠন করেন জাতীয় ফ্রন্ট। একপর্যায়ে কাজী জাফর স্বেচ্ছায় ইউপি পি ভেঙে দিয়ে এরশাদের দলে যোগ দেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটে। যা অনেকটাই সরকারি দল হিসেবে পরিচিতি পায়। ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি পুনর্গঠন হলে ওই সময় শামসুল হুদা চৌধুরী ও ডা. এম এ মতিন (চোখ মতিন) প্রথম দল ভেঙে জাতীয় পার্টি জাতীয়তাবাদ গঠন করেন। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠনের সময় জাতীয় পার্টি প্রথমে তাদের সমর্থন দিলেও পরে চারদলীয় জোটে (বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী ঐক্য জোট ও জাতীয় পার্টি) চলে যায়। এরশাদের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টি নামে নতুন দল গঠন করেন সেসময়ের যোগাযোগ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং দলের চেয়ারম্যান হন মিজানুর রহমান চৌধুরী। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে এরশাদের জাতীয় পার্টিতে আরেক দফা ভাঙন ধরে। এরশাদ চরমোনাই পীরের দলের সঙ্গে নির্বাচনি জোট করায় নাজিউর রহমান মঞ্জু জাতীয় পার্টি নামে আরেকটি দল গঠন করেন এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের অংশ হয়ে নির্বাচনে যান। বর্তমানে এই অংশের নেতৃত্বে আছেন নাজিউর রহমান মঞ্জুর ছেলে ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। এই অংশটির ভেতরও আরেকটি ভাঙন আছে। মন্ত্রিত্ব নিয়ে ঝামেলার একপর্যায়ে এম এ মতিন আলাদা জাতীয় পার্টি গঠন করেন। এ সব খণ্ডিত দল এখন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। এর আগে কাজী জাফর আহমদ ও শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি আবার ভেঙে যায়। তবে পরে তাদের মধ্যে কাজী জাফর আহমদ ফের এরশাদের কাছে ফিরে যান। এক এগারোর সময়ও জাতীয় পার্টি দুটি অংশে বিভক্ত হয়েছিল। রওশন এরশাদ নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে এরশাদ ও রুহুল আমিন হাওলাদারকে বহিষ্কার করেন। পরে অবশ্য এ দুটি অংশই এরশাদের নেতৃত্বে এক হয়ে যায়। ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই জাপা ৬ বার ভেঙেছে। সর্বশেষ দলটির ভাঙন ছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারি নির্বাচনের পর।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য