সংস্কারের বিষয়ে আগামী শনিবার আবারো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ কথা জানান।
উপ-প্রেস সচিব বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে। গত সপ্তাহে একটি সংলাপ হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও সংলাপ করবে সরকার। তিনি জানান, সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বিজেপি, ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ও লেবার পার্টিকে। আরও দুই-একটি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।
জাতীয় পার্টিকে সংলাপে ডাকা হবে কিনা- এমন প্রশ্নে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি চলমান প্রক্রিয়া, পরে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও মার্কিন বিনিয়োগের প্রত্যাশা: বাংলাদেশে আরও মার্কিন বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমান সরকার সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করতে এবং দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক্সেলরেট এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন কোবোস সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই পদক্ষেপের কথা জানান।
ড. ইউনূস বলেন, আপনি এখানে সঠিক সময়ে এসেছেন। বর্তমান সরকার সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করতে এবং দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। ইউএস চেম্বার অব কমার্সের ইউএস-বাংলাদেশ বিজেনেস কাউন্সিল (ইউএসবিবিসি) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কোবোস, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক আস্থা বাড়াবে। তিনি বলেন, আপনি (প্রফেসর ইউনূস) দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আমেরিকান কোম্পানিগুলো থেকে বাংলাদেশে অনেক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সদস্যসহ কিছু শীর্ষ মার্কিন কোম্পানি এই দক্ষিণ এশিয়ার দেশে ব্যবসার সম্ভাবনা নিয়ে উচ্ছ্বসিত। তার কোম্পানি বাংলাদেশে জ্বালানি খাতে এবং ডিকার্বোনাইজেশনে আরও বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে। কোম্পানিটি বাংলাদেশে তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) মসৃণ সরবরাহ বাড়াতে এবং নিশ্চিত করতে চায়। এক্সেলরেটের বর্তমানে বাংলাদেশে দুটি অফশোর ভাসমান স্টোরেজ এবং রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে বিনিয়োগ রয়েছে; যা ১.১ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এটা দেশের দৈনিক গ্যাস সরবরাহের প্রায় ৩৪ শতাংশ।
বৈঠকে স্টিভেন কোবোসসহ বাংলাদেশের সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেরেক ওয়ং এবং র্যামন ওয়াংদি, কান্ট্রি ম্যানেজার হাবিব ভূঁইয়া, এসডিজিবিষয়ক সম্পাদক লামিয়া মোরশেদ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডিএ) এর চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও জ্বালানি সচিব সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য