-->
খালেদা জিয়ার জনসভায় হামলার

পনেরো বছর পর গাজীপুরে মামলা

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
পনেরো বছর পর গাজীপুরে মামলা

গাজীপুরে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জনসভায় গুলি ও হামলার ১৫ বছর পর মামলা করা হয়েছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের বাসন থানায় গতকাল বুধবার বাসন থানা বিএনপির সভাপতি মো. তানভীর সিরাজ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে বিএনপি জনসভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। কিন্তু তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ডিবিপ্রধান (গাজীপুরের তৎকালীন এসপি) হারুন অর রশীদ ও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রায় ২০০ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের জনসমাবেশ অংশ নিতে বাধা দেয়। এ সময় তারা জনসভায় আগত হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে ধাওয়া করে এবং এলোপাথাড়ি ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। তারা হামলা চালিয়ে জনসভার জন্য নির্মিত সভার চেয়ার, টেবিল, মাইক ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যাচার করে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেয় ও জনসভা পণ্ড করে দেয়। অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, তৎকালীন জয়দেবপুর থানায় এ ঘটনায় এজাহার দায়ের করতে গেলে অফিসার ইনচার্জ উদ্দেশ্যমূলকভাবে তা গ্রহণ করেনি।

জিএমপির বাসন থানার ওসি রাহেদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version