নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন গণফোরাম। শনিবার (১৯ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি সংলাপে এ প্রত্যাশার কথা বলেন দলটির নেতারা।
সংলাপ শেষে গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু সাংবাদিকদের জানান, “আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো সময় নির্ধারণ করিনি, তবে অতি দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের কথা বলেছি। নির্বাচনের আগে সংস্কার অবশ্যই করতে হবে, কারণ ক্ষমতায় গেলে আমরা অনেক সময় রাবণ হয়ে যাই।”
মন্টু জানান, দলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ভাঙা, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা, এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে একটি কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠন করা।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় প্রবেশ করে। এই দলের অন্য সদস্যরা হলেন এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছেন ড. ইউনূস। শনিবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সাতটি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তবে বিগত সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ডাকা হয়নি।
গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াত, সিপিবিসহ কয়েকটি দলের অংশগ্রহণে তৃতীয় দফার এই সংলাপ শুরু হয়। বর্তমানে সাতটি দলের মধ্যে রয়েছে গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এবং গণতান্ত্রিক মুক্তি কাউন্সিল।
গণফোরামের এই নেতা বলেন, “বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে এবং দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। এ থেকে উদ্ধার পেতে আমাদের জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এজন্য আমাদের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।”
মন্টু জানান, সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে একটি লিখিত প্রস্তাব দু-একদিনের মধ্যে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য