-->

দেশ ছাড়ার আগে শেখ হাসিনার পরিকল্পনা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি

অনলাইন ডেস্ক
দেশ ছাড়ার আগে শেখ হাসিনার পরিকল্পনা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। ৫ আগস্ট পদত্যাগ করার পর তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য দিলেও শেখ হাসিনা নীরব ছিলেন। তবে, দেশ ছাড়ার আগে রেডিও-টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তিনি বলেন, "দীর্ঘ নয়, অল্প সময় কথা বলব।" কিন্তু, পরিস্থিতির অবনতি এবং সেনাপ্রধানের অনাগ্রহের কারণে সেই সুযোগ তাঁকে দেওয়া হয়নি। তাঁকে জানানো হয়, গণভবনের চারপাশে জনতা জড়ো হয়ে গেছে, এবং পরিস্থিতি মারাত্মক হয়ে উঠছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা ভাষণে বলতে চেয়েছিলেন যে, তিনি নিজ ইচ্ছায় নয়, জোরপূর্বক দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি কারা এবং কোন বিদেশি শক্তি তাঁর সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছে তা দেশবাসীকে জানাতে চেয়েছিলেন। সেই সাথে, তাঁর শাসনকালে দেশের উন্নয়ন সম্পর্কেও কিছু বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন। তবে, পরিস্থিতির কারণে তাঁর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।

পরিস্থিতি যখন আরও ঘনীভূত হচ্ছিল, তখন নয়াদিল্লি থেকে বারবার ফোন আসছিল এবং বলা হচ্ছিল, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়। ঢাকার তরফ থেকে দিল্লিকে অনুরোধ করা হয়েছিল, তারা যেন বিমান পাঠিয়ে শেখ হাসিনাকে নিয়ে যায়। তবে, দিল্লি সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি। পরে, বাংলাদেশের নিজ উদ্যোগে বিমানবাহিনীর একটি সি-১৩০ বিমানে শেখ হাসিনাকে দিল্লি পাঠানো হয়। তাঁর সাথে বিমানে ছিলেন ছোটবোন শেখ রেহানা এবং নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

দেশ ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে, গণভবনের চারপাশে জনতার বিপুল সমাগমের খবর পেয়ে ৪৫ মিনিটের মধ্যে তাঁকে গণভবন ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরের হেলিপ্যাডে তিনি পৌঁছান এবং সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন। দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে, যেখানে শেখ হাসিনার ভাষণের খসড়া এবং তাঁর অভিপ্রায়ের বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version