অধিকারের নামে কেউ বাড়াবাড়ি করছে কিনা সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, একটি মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত আমিরের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সাড়ে ১৫ বছরের কালো মেঘের ছায়া এখনো কেটে যায়নি। এই সময়ে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন, ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ দেখার সময় এখন নয়। দল-মত ভিন্নতা থাকলেও জাতীয় ইস্যুতে ঐকমত্য থাকতে হবে। কোনো বিভেদ রাখা যাবে না। নিজের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়—এই কথা সবাইকে অন্তরে লালন করতে হবে। জাতীয় ইস্যুতে সবাইকে এক থাকতে হবে। আল্লাহর মেহেরবানি পেতে হলে তিনি যা পছন্দ করেন সেটাই করতে হবে।
জামায়াত আমির বলেন, স্বৈরাচারের পতন পরবর্তী সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি হচ্ছে, তা কোনো বিশেষ মহলের উসকানিতে হচ্ছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে হবে। কেউ খুন, গুম, ধর্ষণ, লুণ্ঠন করলে তার ন্যায়বিচার করতে হবে। সকল ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে কেউ অপরাধ করার দুঃসাহস দেখাবে না।
এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করে তা ভাঙতে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার কথাও জানান জামায়াত আমির। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব নিয়ে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। জুলাই বিপ্লবের মতো সিন্ডিকেট ভাঙতে জনগণ সহায়তা করবে। দেশের যেকোনো প্রয়োজনে জামায়াতও সবার আগে এগিয়ে যাবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে শীর্ষ নেতারাসহ শত শত নেতাকর্মী জুলুমের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। জুলুম সব শেষ হয়ে যায়নি, রেশ এখনও রয়ে গেছে। তবে সব সময় জামায়াত সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। প্রতিহিংসা থেকে বিরত থাকতে নেতাকর্মীদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জামায়াত আমির বলেন, স্বাধীন দেশ-জাতি অনেক বেদনাদায়ক দৃশ্য দেখেছে, জাতীয় জীবনে এগুলো অভিশাপ। কেউ জুলুম করুক সেটা চাই না, আমাদের কেউ কারও ওপর জুলুম করুক সেটাও চাই না। বিচারের মাধ্যমে যার যার পাওনা সে পাবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। বিচারের নামে জুলুম জামায়াত সমর্থন করে না। বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যা জামায়াত কখনো সমর্থন করে না।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য