-->

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ফলপ্রসূ নয়, জিয়াই আওয়ামী লীগের পুনর্জন্মের অগ্রদূত

-গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

অনলাইন ডেস্ক
গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ফলপ্রসূ নয়, জিয়াই আওয়ামী লীগের পুনর্জন্মের অগ্রদূত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে ক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদে সংহত করার প্রয়াস কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। তিনি জানান, স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধকরণের মাধ্যমে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। তবে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে সকল রাজনৈতিক দলকে কার্যক্রম চালানোর সুযোগ দেন, যার মধ্যে ছিল বাকশালীয় আওয়ামী লীগও। জিয়াউর রহমানকেই আওয়ামী লীগের ‘দ্বিতীয় নেতা’ এবং মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে প্রথম নেতা হিসেবে অভিহিত করেন গয়েশ্বর।

রবিবার (৩ নভেম্বর, ২০২৪) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি।

গয়েশ্বর বলেন, দেশের জন্য সংবিধান রচনা করলেও আওয়ামী লীগ সংবিধানের শর্ত মেনে চলেনি এবং একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে, যা সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। ক্ষমতায় আসার পর একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তারা জড়িত হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বর্তমানে সরকার আইনকে ভয় পাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান এমন এক নেতা, যাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র কল্পনা করা যায় না। শেখ মুজিব দেশে সব রাজনৈতিক দল এবং সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করেছিলেন, অথচ জিয়াউর রহমান সব রাজনৈতিক দলকে, এমনকি তার রাজনৈতিক বিরোধীদেরও রাজনীতি করার সুযোগ দেন। জিয়াই আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম ঘটান, যেখানে ভাসানী ছিলেন তাদের প্রতিষ্ঠাতা।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version