আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে জামায়াত। এখন থেকে সব পর্যায়ে তৎপরতা হবে মাঠ পর্যায়ে। কোনো জায়গা বাদ যাবে না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পলিটিক্যাল—ননপলিটিক্যাল সবার কাছে দাওয়াত পৌঁছাতে হবে বলে জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও মিডিয়া সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। গতকাল শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জের নগুয়া এলাকায় আল-ফারুক ট্রাস্ট মিলনায়তনে কিশোরগঞ্জ জেলা আমিরের শপথগ্রহণ ও সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আকন্দ বলেন, জামায়াতে ইসলামীর পার্লামেন্টারিয়াল বোর্ড, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী নির্বাচন ৩০০ আসনে এককভাবে করা হবে। এখন জোট হবে কি হবে না তা মাথায় রাখার দরকার নেই। জোট আলাদা জিনিস। আমরা যদি দেখি জোটবদ্ধ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের উপকার হবে, আমরা যাব, তা-না হলে যাব না। ইসলামের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে দুনিয়ার স্বার্থকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী কোনো কাজ করবে না। তিনি বলেন, দেশের সর্বত্রই জামায়াতে ইসলামী একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যদি জামায়াত এক বছর সময় পায় তাহলে দেশের এমন কোনো গ্রাম থাকবে না যেখানে সংগঠন হবে না। এ ভয়টাই তারা করতেছে। সমস্ত গ্রামে যদি জামায়াতের সংগঠন দাঁড়িয়ে যায়, তখন জামায়াত হয়ে যাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রতিরোধ সংগঠন। সুতরাং তারা চাচ্ছে তাড়াতাড়ি নির্বাচন হয়ে যাক, ক্ষমতায় আসবে তারা। এসব দিবাস্বপ্ন নিয়ে উনারা একটু থাকুক, আমরা আমাদের কাজ করতে থাকি।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন—ময়মনসিংহ অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা এনামুল হক, সাবেক জেলা আমির মাওলানা তৈয়বুজ্জামান, জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য