মহাবিশ্বের কাছে পৃথিবী একটি বিন্দুর মতো। কিন্তু পৃথিবীতেও এমন কিছু স্থান রয়েছে যা মহাকাশ থেকে দেখা যায়। পৃথিবীতে এমন স্থান অন্তত সাতটি। মহাকাশ স্টেশন থেকে তোলা ছবিতেও ধরা পড়ে তাদের দৃশ্য।
তালিকার প্রথমেই রয়েছে মিসরের গিজার পিরামিড। পৃথিবীর অত্যাশ্চর্যের একটি মিসরের পিরামিড। মজার ব্যাপার হল, প্রায় ৪৫০০ বছর আগে মিশরীয়দের নির্মিত এই সৃষ্টি দেখা যায় মহাকাশ থেকেও। ২০০১ সালে নাসার মহাকাশচারীরা প্রথমবার মহাকাশ থেকে পিরামিডের ছবি তুলেছিলেন।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টসহ হিমালয় পর্বতমালা পৃথিবীর সৌন্দর্যকে মহিমান্বিত করে। মহাকাশ থেকেও হিমালয়ের রূপ দেখতে অসাধারণ।
এরপর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গিরিখান গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। অ্যারিজোনা স্টেটে অবস্থিত গিরিখাতটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার। কলোরাডো নদীর এই গিরিখাত অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাকৃতিক আশ্চর্য। মহাকাশ থেকে এই বিশাল গিরিখাত দেখতে পাওয়া যায়, তবে তা লাগে শীর্ণ নদীর মতো।
আমাজন পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। দক্ষিণ আমেরিকার নয়টি দেশের মধ্য দিয়ে ৬৪০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই নদীর দৈর্ঘ্য রোম থেকে নিউ ইয়র্ক সিটির দূরত্বের সমান। এই নদী দেখা যায় মহাকাশ স্টেশন থেকেও।
অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অর্থাৎ প্রবাল প্রাচীর বিশ্বের সাতটি প্রাকৃতিক আশ্চর্যের মধ্যে একটি যা মহাকাশ থেকে দৃশ্যমান। এটি ২৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তৃত এবং ২৫০০টি পৃথক প্রাচীর এবং ৯০০টিরও বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
দুবাইয়ের পাম দ্বীপপুঞ্জ বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম দ্বীপ। এটি আরব আমিরাতের উপকূলে অবস্থিত। এটি মহাকাশ থেকে দেখা যায়।
দ্বাদশ শতকে তৈরি আঙ্কোরভাট মন্দির উত্তর পশ্চিম কম্বোডিয়াতে অবস্থিত। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এই মন্দির পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ধর্মীয় নির্মাণ বলেও পরিচিত। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের মিলনস্থল এই মন্দিরটিকে দেখা যায় মহাকাশ থেকেও।
সূত্র: আনন্দবাজার।
মন্তব্য