শিপংকর শীল: স্মার্ট হওয়ার পথে বাংলাদেশ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন নতুন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সরকার। স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি বা স্তম্ভ হিসেবে যে চারটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে তা হলোÑ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রযুক্তিশিক্ষায় পারদর্শী করে তুলতে এবং টেকনোলজি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ইতোমধ্যেই বহুমুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প ছিল প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট তৈরি করা। আর স্মার্ট বাংলাদেশের কাজ হবে এই ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টগুলোকে সমন্বিত এক সেবার মধ্য নিয়ে আসা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ভোরের আকাশকে জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সবার জন্য কানেকটিভিটি, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্নমেন্ট এবং আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন এ চারটি সুনির্দিষ্ট প্রধান স্তম্ভ নির্ধারণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন হয়েছে। মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের দেশ শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। যেখানে ৫৬ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি এবং মুঠোফোন সংযোগের সংখ্যা ১৮ কোটির ওপর।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আরো জানায়, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৮ হাজার ৮০০টি ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা কাজ করছেন, যেখানে ৫০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন। বর্তমানে ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৭০ লাখের অধিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
ফলে নাগরিকদের ৭৮ দশমিক ১৪ শতাংশ কর্মঘণ্টা, ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ব্যয় এবং ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ যাতায়াত সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। মানুষ এখন বিশ্বাস করে, ঘরের কাছেই সব ধরনের সেবা পাওয়া সম্ভব। মানুষের এই বিশ্বাস অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশের পথচলায় সবচেয়ে বড় পাওয়া। পেপারলেস কমিউনিকেশন চালু করার লক্ষ্যে সরকার ই-নথি চালু হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ দার্শনিক প্রত্যয়টির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর, যখন বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা গড়া’র দৃঢ় অঙ্গীকারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার শেখ হাসিনা ‘ভিশন রূপকল্প-২০২১’ ঘোষণা করেন। সেই নির্বাচনী অঙ্গীকারে বলা হয়, “২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ পরিণত হবে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে বাংলাদেশ আজ বিপ্লব সাধন করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতায় পরিপূর্ণতা পেয়েছে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে তখন অধিকাংশ সাংবাদিক, এমনকি গণমাধ্যমেরও স্পষ্ট ধারণা ছিল না। অনেকের কাছেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের বিষয়টি ছিল দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এ দেশের মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্পের আসল সুফল সম্পর্কে ধারণা লাভ করে করোনা মহামারির সময়।
ক্যাশলেস বিনিময় ব্যবস্থা, ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট ব্যবহার করে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া, হোম অফিস এবং ওয়েবিনারসহ আরো অনেক বিষয়ের জন্য আমাদের যে ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০ বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে তোলা হয়, তার শতভাগ সুফল মানুষ ভোগ করে ২০২০-২১ সালে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সরাসরি সরকারের পক্ষ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা আসে।
এ ছাড়া ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ কোম্পানি’ পৃথিবীর ইতিহাসে একটা অনন্যসাধারণ দৃষ্টান্ত। দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতির বিকাশ এবং স্টার্টআপদের উদ্ভাবনী সুযোগ কাজে লাগানোর পথ সুগম করতে সরকার আগামী পাঁচ বছরে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। মেধাবী তরুণ উদ্যোক্তাদের সুদ ও জামানতবিহীন ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট এবং ট্রেনিং, ইনকিউবেশন, মেন্টরিং, কোচিংসহ নানান সুবিধা দেয়ার ফলে দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছে।
বিকাশ, পাঠাও, চালডাল, শিওর ক্যাশ, সহজ, পেপারফ্লাইসহ ২ হাজার ৫০০ স্টার্টআপ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, যারা আরো প্রায় ১৫ লাখ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। বিশ্বে অনলাইন শ্রমশক্তিতে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক ও অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের (ওআইআই) সমীক্ষামতে, অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয়।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রযুক্তিশিক্ষায় পারদর্শী করে তুলতে এবং ডিজরাপ্টেড টেকনোলজি সম্পর্কে ধারণা দিতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩টি বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, ৫০০টি জয় ডি-সেট সেন্টার, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আরো ৩৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ই-নথি, জাতীয় তথ্য বাতায়ন, জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩, ই-নামজারি, আরএস খতিয়ান সিস্টেম, কৃষি বাতায়ন, ই-চালান, এক পে, এক শপ, এক সেবা, কিশোর বাতায়ন, মুক্ত পাঠ, শিক্ষক বাতায়ন, আই-ল্যাব, করোনা পোর্টাল, মা টেলি হেলথ সার্ভিস, প্রবাসবন্ধু কলসেন্টার, ভার্চুয়াল কোর্ট সিস্টেম, ডিজিটাল ক্লাসরুমসহ অসংখ্য সেবা চালু করেছি। এর মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রা সহজ হয়েছে। ফলে করোনার মতো মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ দেখিয়েছে সাফল্য।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার সফলভাবে বাস্তবায়নের পর আমরা এখন নতুন কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। সেটি হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটিÑ এ চারটি মূল ভিত্তির ওপর গড়ে উঠবে ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী, স্মার্ট বাংলাদেশ।
তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়েছে, প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। প্রত্যেকের হাতে এখন অ্যান্ড্রয়েড মুঠোফোন, দুনিয়ার সব প্রান্তের খবর মুহূর্তেই এসে যাচ্ছে হাতের মুঠোয়। বাংলাদেশ সরকারের সেবামূলক সব ফরম পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে। শুধু তাই নয়, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরির আবেদন, পড়াশোনা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফোন বিলসহ বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধ, মোবাইল মানি ট্রান্সফার, ব্যাংকিং, পাসপোর্ট আবেদন, ভিসা প্রসেসিং, বিমানের টিকিট, রেলওয়ে টিকিটিং, ই-টেন্ডারিং, টিন সনদ, আয়কর রিটার্ন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন, জিডি, জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধন থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য করা যাচ্ছে অনলাইনে, অর্থাৎ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। হেল্পলাইনের মাধ্যমে নাগরিকদের মধ্যে জরুরি সেবা পৌঁছে যাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশের সেবা পাচ্ছে জনগণ, যা ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে সবচেয়ে স্পষ্ট ধারণা প্রদান করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশের পরের ধাপ। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি আপনি জানতে পারবেন। কারণ আমরা এটি ২০০৯ সালে শুরু করে আজ পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণাটি গ্রহণ করেন ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের মিটিংয়ে। স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে কী বোঝায়, গত ১২ ডিসেম্বর তা তিনি চারটি পিলারসহ বিস্তারিত বুঝিয়ে বলেছেন প্রকাশ্যে। এরপর থেকেই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ শব্দটা ব্যবহার শুরু করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের যে উদ্যোগ ছিল, সেগুলোকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি আমরা। আমি মনে করি, এটিই স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাটাই চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি এমন না যে একটা ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে আমরা কাজ করব। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোনো একটি নির্দিষ্ট খাত স্মার্ট বাংলাদেশের টার্গেট নয়। উন্নত, সমৃদ্ধ, বৈষম্য-দারিদ্র্যহীন একটা দেশ গড়ে তোলাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ। এর জন্য আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। যা যা প্রযুক্তি ব্যবহার দরকার, সব ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট বেসরকারি খাত গড়ে তোলা জরুরি। কিন্তু শুধু ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা বা প্রযুক্তির ব্যবহারই স্মার্ট বাংলাদেশ নয়। মনে রাখা উচিত, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ এক বিষয় নয়। স্মার্ট অর্থ চতুর। আপনি চতুর হয়ে সব ক্ষেত্রে কম খরচে বেশি উৎপাদন ব্যবস্থাপনা তৈরি করবেন।
আমাদের দেশে সব ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার হলেও সরকারি কার্যাবলি, আইন ও কোড এখনো স্মার্ট হওয়ার পথে বাধা। এবারের বাজেটে সেই প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার জন্য তেমন কোনো রূপরেখা আমার নজরে আসেনি। তবে হ্যাঁ, বাজেটজুড়ে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির তীব্র আকাক্সক্ষা রয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবায়নে বাস্তবমুখী উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের কাছে বর্তমান বাজেটে সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বিষয়টি কতটুকু বাস্তবায়নযোগ্য জানতে চাইলে তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ক কোনো ধারণা আমার কাছে নেই। সুতরাং এ বিষয়ে বাজেটে কী রয়েছে বা এটি বাস্তবায়নে বাজেটে কোনো ব্যবস্থাপনা রয়েছে কিনা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে যারা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন, তারাই ভালো বলতে পারবেন।
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণÑ আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। এ পথে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। এখন গ্রামে বসেও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল মিলছে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নীতি-আদর্শ ধরে রেখে কাজ করেছি। এরই ফলস্বরূপ দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে আমাদের। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশরত্ন শেখ হাসিনার অবিচল নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি স্তম্ভের মূল হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট নাগরিক না হলে স্মার্ট অর্থনীতি হবে না, স্মার্ট সরকার হবে না, স্মার্ট সমাজ হবে না। আর সে স্মার্ট নাগরিক তৈরি করবেন আপনারা, যারা মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল হাতিয়ার। আর শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর।’
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য