-->

এমবাপের হ্যাটট্রিকে পিএসজির জয়

ক্রীড়া ডেস্ক
এমবাপের হ্যাটট্রিকে পিএসজির জয়

দলে ছিলেন না লিওনেল মেসি। ছিলেন না নেইমারও। দুই সেরা খেলোয়াড়ের অভাবটা বুঝতেই দিলেন না কিলিয়ান এমবাপে। বরং নিজে উড়লেন এবং দলকে উড়ালেন। করেছেন হ্যাটট্রিক। তার হ্যাটট্রিকে সোমবার সহজ জয়ে ফরাসি কাপের শেষ ষোলোতে পৌঁছেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই। চতুর্থ বিভাগের দল ভানেসকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে মেসি-নেইমারদের দল।

বেশ কয়েকজন নিয়মিত খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতির কারণে পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো বেশকিছু অনিয়মিত খেলোয়াড়কে মাঠে নামিয়েছিলেন। তারা শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেন। তবে তাদের আধিপত্যে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল স্থানীয় দলের গোলরক্ষক ক্লেমেন্ত পেটরেল। আন্দেও হেরেরা ও জর্জিনহো উইনালদামের দুটো প্রচেষ্টা দারুণভাবে রুখে দেন তিনি। কিন্তু ২৮ মিনিটে কিমপেম্বের হেড রুখতে পারেননি। কাছ থেকে কিমপেম্বের হেড তাকে ফাঁকি দিয়ে জালে আশ্রয় নেয়।

কিমপেম্বের হেড যেন পিএসজিকে গোলের পথ চিনিয়ে দেয়। যদিও প্রথমার্ধে তারা আর গোল পায়নি কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপে একের পর এক গোল করেছেন। যার প্রথমটা আসে ৫৯ মিনিটে। এমবাপের প্রথম গোলের রূপকার ছিলেন কিমপেম্বে। এমবাপের এ গোলের জন্য পেটরেল নিজেকে দুর্ভাগাও ভাবতে পারেন। এমবাপেকে দেখে পোস্ট ছেড়ে বের হয়েও এসেছিলেন তিনি। এমবাপের শট তার শরীরে লেগে একটু দিক পরিবর্তন করলেও ঠিকই সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে যায়।

এমবাপে দ্বিতীয় গোল পান ৭১ মিনিটে। এ গোলের ব্যাপারে পেটরেলের করার কিছু ছিল না। ১৮ বছর বয়সী জাভি সিমন্সের কাছ থেকে বল পেয়ে এমবাপে ব্যক্তিগত সংগ্রহকে বাড়িয়ে নেন। তার চমৎকার শট জালে আশ্রয় নেয়। এমবাপে তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ৭৬ মিনিটে। বদলি খেলোয়াড় এরিক এমিম্বের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে সহজেই গোল করেন তিনি।

পিএসজির জয়ের ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারত। ১৮ বছর বয়সী এডুয়ার্ড মিচুট যে শটটি নিয়েছিলেন তা গোল হতেই পারত কিন্তু ক্রসবার তাকে স্কোরশিটে নাম লেখাতে দেয়নি। এছাড়া এমিম্বের একটা শটও রুখে দিয়েছিলেন ভানেসের গোলরক্ষক।

ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে খেলেননি নেইমার। আর মেসি করোনায় আক্রান্ত। ফলে দারুণভাবে সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন এমবাপে।

মন্তব্য

Beta version