-->

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়

ক্রীড়া ডেস্ক
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়

অবিশ্বাস্য। অবিশ্বাস্য তো বটেই। নিউজিল্যান্ড সফরের শুরুতে কেউ টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছেন এমনটা বললে তা কেউ বিশ্বাস করত না। কিন্তু বাংলার দামাল ছেলেরা নিউজিল্যান্ডে সেই কাজটাই করেছে। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছে। ৮ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে মাউন্ট মুঙ্গানুইয়ের বে ওভালে। এ জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ১-০ তে এগিয়ে গেল। সে সঙ্গে একটা বিষয়ও নিশ্চিত হয়েছে। এ সিরিজ বাংলাদেশ হারছে না। বরং টাইগার সেনারা হারের শঙ্কাটা স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

অবিস্মরণীয় এক টেস্ট। ম্যাচের প্রথম দিন থেকে বাংলাদেশের আধিপত্য ছিল। শুরুর দিনে আধিপত্যের হারটা তুলনামূলক কম থাকলেও দিনে দিনে তা বেড়েছে। আর চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের সামনে জয়ের সম্ভাবনাটা হাজার পাওয়ারের বাতির মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। আর পঞ্চম দিনের শুরুতেই সেই সম্ভাবনা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ ছিল না।

পঞ্চম দিন অর্থাৎ বুধবার সকালে সেই সন্দেহ দূর করে দেন এবাদত হোসেন। বাংলাদেশের জয়ের সামনে যাকে বাধা মনে করা হচ্ছিল সেই রস টেলরকে প্রথম ধাক্কায় বিদায়ের পথ দেখিয়ে দেন। আগের দিন ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন টেলর। কিন্তু এদিন আর বাংলাদেশের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারেননি। দিনের দ্বিতীয় আর নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই টেলরের স্ট্যাম্প এলেমেলো করে দিয়ে বড় বাধাটা সরিয়ে দেন। সে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষদের আনন্দে ভাসিয়ে দেন।

টেলরের বিদায়ের মাধ্যমে যে আসা-যাওয়া শুরু হয়। তা আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কেননা দলীয় ১৫৪ রানে টেলরের বিদায়ের পর নিউজিল্যান্ড ইনিংসে আর মাত্র ১৫ রান যোগ হয়েছে। সবমিলিয়ে আগের দিনের সঙ্গে মাত্র ২২ রানে যোগ করে নিউজিল্যান্ড তাদের শেষ ৫ উইকেট হারায়।

ঐতিহাসিক সেই মুহূর্ত থেকে বাংলাদেশ মাত্র তখন ৪০ রান দূরে দাঁড়িয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৪০ রান করতে পারলে অবিস্মরণীয় এক জয় পাবে বাংলাদেশ। সহজ এক লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনো সমস্যা হয়নি বাংলার টাইগারদের। যদিও দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারিয়েছে। কিন্তু মূল লক্ষ্য অর্জনে তা কোনো সমস্যা হয়নি।

টিম সাউদি অবশ্য শুরুতেই একটা ধাক্কা দিয়েছিলেন। মাত্র ৩ রানে সাদমানকে তুলে নিয়েছিলেন। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত কাইল জেমিসনের শিকার হন। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশকে। অধিনায়ক মুমিনুল হক ও সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম দলকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। আর এতেই বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যে কোনো ফরম্যাটে প্রথম জয়ের দেখা পায়। সে সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের অপরাজিত থাকার রেকর্ডেও দাঁড়ি পড়ে। টানা ১৭ টেস্ট অপরাজিত থাকার পর হারের স্বাদ পেল নিউজিল্যান্ড।

অন্যদিকে দেশের বাইরে বাংলাদেশ পঞ্চম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায়। এর আগে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট জিতেছে। এর মধ্যে জিম্বাবুয়েতে জয় পায় দুটিতে।

মন্তব্য

Beta version