-->
অনূর্ধ্ব-১৯ বাংলাদেশ

দাপুটে জয়ে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
দাপুটে জয়ে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজে চলমান এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হার বাংলাদেশকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দেয়। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। কানাডার বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে। ১১৯ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে টাইগাররা। কানাডার ১৩৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৩০.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়।

এ জয় বাংলাদেশের সামনে ‘এ’ গ্রুপ থেকে টুর্নামেন্টের সুপার লিগে খেলার সম্ভাবনা আবার উজ্জ্বল হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ গ্রুপের শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হবে। মূলত এ ম্যাচের ওপরই বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ভর করছে। দুটো দলই সুপার লিগে খেলার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে পড়েছে এখন। উভয় দলই দুই ম্যাচ শেষে একটা করে জয় পেয়েছে, একটা ম্যাচে হেরেছে। দুই দলের ভান্ডারে ২ পয়েন্ট জমা হয়েছে। ফলে শেষ ম্যাচে যারা জয় পাবে তারাই সুপার লিগে খেলবে।

বাংলাদেশের জয়ের কাজটা বোলাররাই করে দিয়েছিল। নির্ধারিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট তুলে নিয়েছেন আশিকুর জামান, রিপন মন্ডল ও এসএম মেহরব। তিনজনেই কানাডার ১০ উইকেট শিকার করেছেন। রিপন মন্ডল ও এসএম মেহরব চারটি করে উইকেট শিকার করেন। তাদের তোপেই কানাডা ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায়।

কানাডার ওপেনার অনুপ চাইমা ছাড়া আর কোনো ব্যাটার বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। ৬৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু অন্য কোনো সতীর্থের সহযোগিতা পাননি। তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ১৫। আর এটি এসেছে অতিরিক্ত খাত থেকে। তাদের সাত ব্যাটার দুই অঙ্কের রানে পৌঁছাতে পারেনি। অবশ্য কানাডার শুরুটা ছিল বেশ ভালোই। বিনা উইকেটে তারা ৩৪ রান জমা করেন। তারপরেই একের পর এক উইকেট শিকারের উৎসবে মেতে ওঠেন বাংলাদেশের বোলাররা।

১৩৭ রানে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে বাংলাদেশকে তেমন কোনো দুঃশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি। শুধুমাত্র ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম ১২ রানে আউট হয়ে প্রথম ধাক্কাটা হজম করতে হয়। বাংলাদেশ ইনিংসে এটাই শুধু কানাডার সাফল্য। এরপরে তারা প্রান্তিক নওরোজ মন্ডলের উইকেট পেয়েছে ঠিকই। কিন্তু ততক্ষণে বাংলাদেশ জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। ওপেনার ইফতেখার হোসেন ৬১ রানে অপরাজিত থাকে। ৮৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে তিনি ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন।

প্রান্তিক ৩৩ রানে আউট হয়েছিলেন। ৫২ বলে তিনি এ ইনিংসটি খেলেছিলেন। ইফতেখারের পাশাপাশি আইচ মোল্লা অপরাজিত থাকেন। ২৬ বলে ২০ রান করেন তিনি।

মন্তব্য

Beta version