লম্বা বিরতির পর অবশেষে রোববার রাতে পিএসজির হয়ে মাঠে নেমেছেন লিওনেল মেসি। তবে শুরু থেকে নয়, বদলি হিসেবে। গোল পাননি, করিয়েছেন এবং তার দল পেয়েছে বড় জয়। মেসির উপস্থিতিতে ঘরোয়া লিগে পিএসজি নিজেদের মাঠের খেলায় রেইমকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে।
বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মেসি মাঠে নেমেছিলেন ৬৩ মিনিটের সময়। ততক্ষণে অবশ্য পিএসজির জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। সে সময় ২-০ গোলে এগিয়ে স্বাগতিক দল। মেসি যখন মাঠে নেমেছেন তখন তার আগের মিনিটে ঘটেছে আর এক ঘটনা। গোলদাতার খাতায় নাম লিখিয়েছেন সের্হিও রামোস। পিএসজির হয়ে এটা তার প্রথম গোল।
একই রাতে ইতালিয়ান মিডফিল্ডার ভেরাত্তি ২০১৯ সালের পর পিএসজির হয়ে প্রথম গোলের দেখা পেয়েছেন। মূলত তার গোলেই পিএসজি এ রাতে গোলের সূচনা করে। এরপরেই গোলদাতার তালিকায় নাম লেখান রামোস। পিএসজির হয়ে শেষ গোলটি করেন ডানিলো পেরেইরা। জয়ী দল তৃতীয় গোলটি পায় ওন গোলের সুবাদে। রেইমের ওউট ফায়েস নিজের জালে নিজেই বল জড়িয়ে দেন।
এ জয়ের ফলে পিএসজি ২২ ম্যাচ শেষে ৫৩ নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। তাদের অনুসরণ করছে নিস। সমান ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪২ পয়েন্ট। রোববার তারা মেতজকে ২-০ গোলে হারিয়েছে। মার্সেই রয়েছে তৃতীয় স্থানে। তাদের সংগ্রহ ৪০। তাদের সম্ভাবনা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার। কেননা তাদের হাতে একটা ম্যাচ বাকি রয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে এ ম্যাচে প্রথম মাঠে নামলেও শুরুতে সাইড বেঞ্চে ছিলেন মেসি। অন্যদিকে ইনজুরির কারণে নেইমার না থাকায় পিএসজি কোচ আক্রমণভাগ সাজিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে, মাউরো ইকার্দি ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে দিয়ে। গোল ব্যবধান রচনার জন্য এমবাপে প্রথম আধা ঘন্টায় দুটো ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সে সব কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। তার ব্যর্থতার মাঝে বিরতির আগেই ভেরাত্তি পিএসজির সমর্থকদের মনে স্বস্তি এনে দেন।
এ দিনটা ভেরাত্তির হতো পারতো। আরও একটা গোল নিজের নামের পাশে দেখতে পারতেন। দি মারিয়ার পরিবর্তে মাঠে আসা লিওনেল মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সেও মধ্য থেকে দর্শনীয় এক শট নিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। বল রেইমের এক খেলোয়াড়ের শরীরে লেগে বল জালে আশ্রয় নেয়। আর তাতেই তাকে এক গোল নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
মন্তব্য