-->
আফ্রিকান নেশনস কাপ

ক্যামেরুন ও গাম্বিয়া কোয়ার্টার ফাইনালে

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্যামেরুন ও গাম্বিয়া কোয়ার্টার ফাইনালে

পদদলিত হয়ে ছয় দর্শকের নিহত হওয়ার ঘটনাকে পেছেনে ফেলে আফ্রিকান নেশনস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে স্বাগতিক ক্যামেরুন। সোমবার শেষ ষোলোর লড়াইয়ে প্রায় সিংহভাগ সময় ১০ জন নিয়ে খেলা কোমোরস আইল্যান্ডকে তারা ২-১ গোলে হারিয়েছে। অন্য ম্যাচে গিনিকে ১-০ গোলে হারিয়ে গাম্বিয়া তাদের সঙ্গী হয়েছে।

কোমোরস আইল্যান্ড এবারের টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো অংশ নেয়। আর তাতেই তারা চমক সৃষ্টি করে। পৌঁছায় দ্বিতীয় রাউন্ডে। এ রাউন্ডেও তারা কম চমক দেখায়নি। এ ম্যাচের শুরুতেই তাদের একজন লাল কার্ড দেখায় ৮৩ মিনিটেরও বেশি সময় ১০জন নিয়ে খেলতে হয়েছে। তারপরও ক্যামেরুনকে সহজে জয় পেতে দেয়নি। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে তারা তাদের অধিনায়ককে হারায়।

শুধু তাই নয়, তারা গোলবারের নিচে কোনো নিয়মিত গোলরক্ষককে পায়নি। করোনাভাইরাসের কারণে তাদের পক্ষে গোলবারের নিচে নিয়মিত কোনো গোলরক্ষককে দাঁড় করানো সম্ভব হয়নি। ফলে ডিফেন্ডার চাকের আলহাধুরকে এ দায়িত্ব পালন করতে হয়। এখানেই কোমোরসের দুর্ভোগ শেষ নয়। করোনাভাইরাসের কারণে তাদের ডাগ আউটেও কেউ ছিল না। তাদের এ দূরাবস্থাকে আরও করুণ করে তুলেছিল অধিনায়কের লাল কার্ড। ক্যামেরুনের নিকোলাস মৌউমিকে মারাত্মক ফাউল করায় অধিনায়ক নাদজিম আবদুউ লাল কার্ড দেখেন।

প্রতিপক্ষের এমন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ম্যাচের শুরু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যামেরুন। কিন্তু খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। তারই মাঝে ২৯ মিনিটে কার্ল টোকো ইকাম্বিও গোলে এগিয়ে যায়। এছাড়া ৭০ মিনিটে ভিনসেন্ট আবুবকর দলের নিশ্চিত করেন। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দমে যায়নি কোমোরস। তারা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। অবশেষে ৮১ মিনিটে ব্যবধান কমায়। কিন্তু হার এড়াতে পারেনি। তবে লড়াকু খেলা উপহার দিয়ে তারা ঠিকই দর্শকের মন জয় করে।

এদিকে গাম্বিয়া তাদের অঘটন অব্যাহত রেখেছে। বামোসাম স্টেডিয়ামে এবার তাদের শিকারে পরিণত হয়েছে গিনি। ১-০ গোলে জিতেছে গাম্বিয়া। টুর্নামেন্টে আলো ছড়ানো স্ট্রাইকার মুসা ব্যারো ৭১ মিনিটে গোলটি করেন। ইউসুফা ববের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে তৈরি হওয়া সুযোগটি কাজে লাগাতে মোটেও ভুল করেননি। গাম্বিয়া এখন কোয়ার্টার ফাইনালে ক্যামেরুনের মুখোমুখি হবে। ২৯ জানুয়ারি এ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

এ ম্যাচেও কার্ডের যথেষ্ঠ ছড়াছড়ি ছিল। থাকারই কথা। ম্যাচটা বেশ শারীরিক শক্তি নির্ভর খেলায় রূপ নিয়েছিল। বিশেষ করে শেষ দিকে দুই দলের খেলোয়াড়রা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেছিল। ৮৭ মিনিটে গাম্বিয়ার ইউসুফা জি লাল কার্ড দেখেন। আর ৯৩ মিনিটে বহিষ্কার হন গিনির ইব্রাহিমা সোরি।

 

মন্তব্য

Beta version