-->

আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইট ওয়াশ নেদারল্যান্ডস

ক্রীড়া ডেস্ক
আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইট ওয়াশ নেদারল্যান্ডস
তিন উইকেট শিকার করা আফগানিস্তানের কায়েস আহমেদ

দোহায় অনুষ্ঠিত আইসিসি মেন্স ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপের সুপার লিগে তৃতীয় ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। ৭৫ রানে জয় তাদের। এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে নেদারল্যান্ডসকে তারা হোয়াইট ওয়াশ করেছে। শুধু তাই নয়, সিরিজ জয়ের ফলে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে আফগানিস্তান এখন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুগ্মভাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

মঙ্গলবার আফগানিস্তানের ৫ উইকেটে করা ২৫৪ রানের জবাবে নেদারল্যান্ডস ১৭৯ রানে অল আউট হয়। এ ম্যাচে বল টেম্পারিংয়ের কারণে নেদারল্যান্ডসের ৫ রানে কেটে নেওয়া হয়। এ রান আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগ হয়। বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন নেদারল্যান্ডসের বোলার ব্রান্ডন গ্লোভার। ৩১তম তিনি এ ঘটনা ঘটান। তবে এ ঘটনায় রান কেটে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো শাস্তি কাউকে দেওয়া হয়নি।

টস জয়ের পর আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুতে তারা রহমাতুল্লাহ গুলবাজের উইকেট হারালেও খুব একটা দুঃশ্চিন্তা করতে হয়নি। বিশেষ করে অভিষেক হওয়া ওপেনার রিয়াজ হাসান ও অভিজ্ঞ নাজিবুল্লাহ জারদানের চমৎকার ব্যাটিং আফিগানিস্তানের সব দুঃশ্চিন্তা উড়িয়ে দেয়। রিয়াজ প্রথম ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ৫০ রান করেন তিনি। আর জারদানের সংগ্রহ ছিল ৭১ রান। মাত্র ৫৯ বলে তিনি এ রান করেছেন। আট বাউন্ডারি ও তিন ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

আফগানিস্তানের ইনিংসকে সমৃদ্ধ করতে যথেষ্ঠ অবদান রেখেছেন রহমাত শাহ ও হাসমাতুল্লাহ শহীদি। তাদের সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ৪৮ ও ২৮। নেদারল্যান্ডসের আট বোলার বল করেছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

জবাবে নেদারল্যান্ডসের শুরুটা ছিল অসাধারণ। দুই ওপেনার স্কট এডওয়ার্ডস ও কলিন অ্যাকারমান অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। তাদের ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান বোলারদের জন্য শুধুই হতাশা ছিল। একের পর এক তারা বলকে সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন, আর দলের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করেছেন। সে সঙ্গে নিজেদের ক্যারিয়ারকেও। ১০৩ রানের পার্টনারশিপ তাদের। ৫৪ রানে স্কট এডওয়ার্ডস আউট হলে নেদারল্যান্ডসের প্রথম উইকেটের পতন হয়।

প্রথম জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়া সঙ্গে সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের হারটা নিশ্চিত হয়ে যায়। কেননা এরপর একের পর এক তাদের উইকেট পতন হতে থাকে। অবস্থা এতটাই নাজুক হয় যে, পরের ৯ ব্যাটারদের মধ্যে মাত্র একজন দুই অঙ্কের রানে পৌঁছাতে পারে। ফলে নেদারল্যান্ডসের হারটা নিশ্চিত হয়ে যায়।

আফগানিস্তানের ছয় বোলারের প্রত্যেকেই উইকেট শিকারের স্বাদ পেয়েছেন। তবে সফল ছিলেন কায়েস আহমেদ। তিন উইকেট শিকার করেন তিনি।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন নাজিবুল্লাহ জারদান। তবে একেবারে হতাশ হতে হয়নি নেদারল্যান্ডসকে। তাদের ওপেনার স্কট এডওয়ার্ডস সিরিজ সেরা হয়েছেন।

 

মন্তব্য

Beta version