আফ্রিকান নেশনস কাপে ইকোয়াটোরিয়াল গিনি তাদের জায়ান্ট কিলিং মিশন অব্যাহত রেখেছে। এবার তাদের শিকারে পরিণত হয়েছে মালি। লিম্বেতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি শেষ হয়েছে টাইব্রেকারে। গোলশূন্য ড্র’র পর গিনি টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে জয় পায়। আগামী রোববার তার সেমিফাইনালে মাঠে নামবে। সেমিতে তারা খেলবে সেনেগালের বিপক্ষে।
গিনির বিপক্ষে নিরঙ্কুশ ফেভারিট ছিল মালি। মাঠের পারফরম্যান্সেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। বলের দখল যেমন তারা বেশি রেখেছিল, তেমনি গোলের সুযোগও বেশি তৈরি করেছিল। কিন্তু আসল কাজটি করেছে গিনি। তাদের গোলরক্ষক ছিলেন জয়ের নায়ক। টাইব্রেকারে নির্ধারিত প্রথম পাঁচটি শটে উভয় দল তিনটি করে গোল করে। শেষ পর্যন্ত অষ্টম শটে এসে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। মালির পক্ষে অষ্টম শটটি নিতে আসেন ডিফেন্ডার ফালায়ে স্যাকো। কিন্তু তিনি গোল করতে পারেননি, তার শট রুখে দেন গিনি গোলরক্ষক ওয়োনো।
তবে উৎসবের জন্য গিনিকে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়। কেননা শটের আগে গোলরক্ষক ওয়োনো তার লাইন ছেড়ে এসেছিলেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য রেফারি ভিএআর এর শরনাপন্ন হয়। ওয়োনো ঠিকই সামনে এগিয়ে এসেছিলেন কিন্তু নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তার পেছনে পা গোল লাইনে ছিল। ফলে মালির সামনে যে একটু আশার আলো জ্বলছিল তা নিভে যায়। আর উৎসবে মাতোয়ারা হয় গিনি।
গিনি এর আগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আলজেরিয়াকে বিদায় করেছে। গ্রুপ পর্বে তারা সিয়েরে লিওনকে হারিয়েছে। এবার তাদের শিকারে পরিণত হলো মালি। মূলত ম্যাচে তারা গোলের তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। কিন্তু মালিকে কখনই স্বাভাবিক ছন্দে খেলতে দেয়নি। তাদের জন্য খেলাটা কঠিন করে তুলেছিল গিনি।
অবশ্য ম্যাচের ভাগ্য অন্যরকমও হতে পারত। ৪০ মিনিটের সময় মালি একটা পেনাল্টি পেয়েছিল। কিন্তু ভিএআর দেখে রেফারি তার সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হন।
ম্যাচ শেষে গিনি কোচ হুয়ান মিচা বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক বিষয়। আমাদের ছেলেদের চমৎকার পরিশ্রমের ফল আমরা পেয়েছি।’
অন্যদিকে মালি কোচ মোহাম্মদ মাগাসোউবা এ ঘটনাকে হতাশাজনক বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই হতাশাজনক। কেননা ম্যাচটা কোনোক্রমেই টাইব্রেকার পর্যন্ত যাওয়া উচিত ছিল না। আমাদের বিদায় হয়েছে। তবে আমাদের আরও দূর যাওয়ার সামর্থ্য ছিল।’
মন্তব্য