-->
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আফগান যুবারা সেমিফাইনালে

৩২টি ওয়াইড বল পেয়েও জিততে পারেনি শ্রীলঙ্কা

ক্রীড়া ডেস্ক
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আফগান যুবারা সেমিফাইনালে

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সুপার লিগে নাটকীয় এক ম্যাচ উপহার দিয়ে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বৃহষ্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। লো স্কোরিং ম্যাচে আফগানিস্তানের রান ১৩৪। জবাবে তাদের করা ৩২টি ওয়াইড বল সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা ১৩০ রানে অল আউট হয়েছে। ডুবেছে হারের লজ্জায়। আফগানিস্তান ফাইনালে ওঠার জন্য এখন সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে।

টস জয়ী শ্রীলঙ্কা আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। ভিনুজা রামপল ও ডুনিথ ভেলালাগের দূর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানিস্তানের তখন নাজুক অবস্থা। একের পর এক উইকেট পতনে তারা স্বল্প রানের লজ্জায় ডুববে কিনা তার শঙ্কা জেগেছিল। এক পর্যায়ে মাত্র ২৬ রানে তারা ৪ উইকেট হারিয়েছিল। ৮৪ রানে পতন হয় তাদের ৬ উইকেটের। এ অবস্থায় আব্দুল হাদি ও নুর আহমদ কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তাদের সুবাদে আফগানিস্তানের রান একশ পার হয়। হাদির ৩৭ ও নুরের ৩০ রানের সুবাদে স্কোরবোর্ডে ১৩৪ রান জমা হয়।

রামপল ৫ উইকেট শিকার করেন। আর ভেলালাগের শিকার ছিল ৩ উইকেট। রামপলের বোলিং ছিল যথেষ্ঠ ঈর্ষনীয়। ৯.১ ওভারে তিনটি ছিল মেডেন ওভার। আর খরচ মাত্র ১০ রান। উইকেট মাত্র একটা পেয়েছেন ত্রিবিন ম্যাথিউ। তবে তার বোলিংয়ে ছিল কৃপণতা। ১০ ওভারে চার মেডেন। খরচ মাত্র ১৩ রান।

বোলারদের এমন বোলিংয়ের মর্যাদা দিতে পারেনি শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। শীর্ষ ব্যাটাররা এমন হতাশা উপহার দিয়েছেন যে, যা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা কখনই মনে করতে চাইবেন না। একের পর এক উইকেট হারিয়েছেন। আফগানিস্তানের বোলারদের কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। স্বল্প রান তাড়া করার লড়াইয়ে তাদের চারজন রান আউট হয়েছেন। শীর্ষ সাত ব্যাটারের তিনজন রান আউট হয়েছেন। তার ফলে এক পর্যায়ে তাদের রান ছিল ৭ উইকেটে ৪৩। এ অবস্থা থেকে অধিনায়ক ডুনিথ ভেলালাগে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন। ৩৪ রান করেছেন তিনি। তার সঙ্গী হয়েছিলেন নবম ব্যাটার রাভিন ডি সিলভা। ২১ রান করেছেন। তবে তাদের চেষ্টা হার এড়ানোর জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।

আফগানিস্তানের বোলাররা অবশ্য শ্রীলঙ্কাকে জিতিয়ে দেওয়ার যথেষ্ঠ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কা হয়তো জিততে চায়নি। তা না হলে জয়ের জন্য দরকার মাত্র ৫ রান, বল আছে ২৪টি। সে অবস্থায়ও তারা রান আউট হয়ে জয়কে আফগানিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছে। আফগানিস্তানের বোলররা ৩৪টি অতিরিক্ত রান দিয়েছে। তাদের মধ্যে ৩২টি ওয়াইড।

 

মন্তব্য

Beta version