ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণভাবে ইংল্যান্ডকে ফিরিয়ে আনলেন অধিনায়ক মঈন আলী। তার চমৎকার পারফরম্যান্সে ভর করে আগেভাগে সিরিজ হারের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে ইংল্যান্ড। শুধু তাই নয়, সিরিজ জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করেছে। সিরিজে ফিরিয়ে এনেছে উত্তেজনা। শনিবার ব্রিজটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ইংল্যান্ড ৩৪ রানে জয় পেয়েছে। ইংল্যান্ডের করা ১৯৩ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছে ১৫৯। মঈন আলী ব্যাট হাতে ২৮ বলে ৬৩ রান করার পর বল হাতে নিয়েছেন দুই উইকেট। স্বাভাবিকভাবে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
ইনজুরির কারণে নিয়মিত অধিনায়ক মরগ্যানের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মঈন আলী। অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। সাতটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। জ্যাসন হোল্ডারের করা ১৮তম ওভারেই তিনি পরপর চারটি ওভার বাউন্ডারি মারেন। তারই এমন ব্যাটিং তাণ্ডবেই ইংল্যান্ড বড় রান জমা করতে সমর্থ হন। আর হোল্ডার ডোবেন লজ্জায়। তবে দলের সফল বোলারও ছিলেন তিনি। ৪৪ রানে পেয়েছেন তিন উইকেট।
ইংল্যান্ডের বড় সংগ্রহে ওপেনার জেসন রয়ের অবদান কম নয়। ৫২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৪২ বলে খেলা ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন পাঁচটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারিতে। এছাড়া জেমস ভিন্সের অবদানও ছিল যথেষ্ঠ। ২৬ বলে করেছেন ৩৪ রান।
লক্ষ্যমাত্রা বিশাল থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল চমৎকার। ব্রান্ডন কিং ও কাইল মায়ের্সের দায়িত্বশীল ব্যাটিং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। বিনা উইকেটেই তারা ৫০ রানের প্রথম বাধা পার হয়ে যান। স্কোর বোর্ডে জমা হয় ৬৪ রান। তারপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে লাইনে বিপর্যয় এসে হাজির হয়। ৬৪ রান থেকে ৯৭ রান পর্যন্ত পথ পাড়ি দিতে একের পর এক উইকেট হারাতে হয়। এ সময়ে চার ব্যাটার ফিরে যান। সে সঙ্গে তারা জয়ের পথটাও হারিয়ে ফেলে।
জয়ের জন্য মঈল আলীর মতো একটা ছোট্ট ব্যাটিং তাণ্ডব দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু তেমনভাবে কেউ এগিয়ে আসতে পারেননি। একটু চেষ্টা করেছিলেন মঈন আলীর হাতে বিধ্বস্ত হওয়া জেসন হোল্ডার। কিন্তু তার মতো অতটা বিধ্বংসী হতে পারেননি তিনি। ২৪ বলে ৩৬ রান করেছেন। দুটো বাউন্ডারির পাশাপাশি তিনটি ওভার বাউন্ডারিতে সমৃদ্ধ করেছেন ইনিংসটি। কিন্তু তা জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।
রোববার সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজ কার হাতে শোভা পাবে এ ম্যাচেই নির্ধারিত হবে।
মন্তব্য