-->
আফ্রিকান নেশনস কাপ

ক্যামেরুন ও বুরকিনা ফাসো সেমিতে

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্যামেরুন ও বুরকিনা ফাসো সেমিতে
ক্যামেরুনের হয়ে দুটো গোলই করেন কার্ল টোকো ইকাম্বি

সহজ জয়ে আফ্রিকান নেশনস কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে স্বাগতিক ক্যামেরুন। শনিবার রাতে গাম্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে স্বাগতিক দলটি সবার আগে শেষ চারে জায়গা করে নেয়। একই দিন শিরোপা জয়ের পথে নিজেদের আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে বুরকিনা ফাসো। তিউনিসিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে তারা সেমিফাইনালে ক্যামেরুনের সঙ্গী হয়েছে।

ক্যামেরুনের হয়ে দুটো গোলই করেন কার্ল টোকো ইকাম্বি। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর মাত্র সাত মিনিটে দুইবার গাম্বিয়ার জালে বল ফেলেন ইকাম্বি। তার এই জোড়া গোল গ্যালারি থাকা স্বাগতিক দর্শকদের আনন্দে ভাসিয়ে দেয়। ৫০ মিনিটের সময় ইকাম্বি প্রথম গোলটি করেন। আর দ্বিতীয় গোলটি আসে ৫৭ মিনিটে।

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ১৫০তম স্থানে থাকা গাম্বিয়ার বিপক্ষে জয়ের জন্য ক্যামেরুনকে কখনও দুঃশ্চিন্তায় ভুগতে হয়নি। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ২৪ দলের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল দল ছিল এই গাম্বিয়া। তবে দারুণ চমক দেখিয়ে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। তবে ক্যামেরুনের বিপক্ষে সেই চমক আর তারা টেনে আনতে পারেনি। বরং শুরু থেকে ক্যামেরুন আধিপত্য নিয়ে খেলেছে। তিউনিসিয়া ও গিনিকে হারানো গাম্বিয়ার এদিন বেশির ভাগ সময় কেটেছে বলের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে।

ক্যামেরুন যেখানে ৬১ ভাগ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ করেছে সেখানে তাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল ৩৯ ভাগ সময়। পুরো ম্যাচে মাত্র একবারই তারা ক্যামেরুনের পোস্টে বল রাখতে পেরেছে। সেখানে ক্যামেরুন ১৮তার তাদের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ক্যামেরুন যদি পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারতো তাহলে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবতো গাম্বিয়া। টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত ছয় গোল করা আবুবকর প্রথমার্ধে তিনবার গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। নিজের গোল সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। প্রথম সুযোগে ব্যাক হিল শট নিয়েছিলেন। কিন্তু বল পোস্টে থাকেনি। আর হেড করে বলকে লক্ষ্যে পাঠাতে পারেননি। ফলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সুযোগেও ব্যর্থ হন তিনি।

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বুরকিনা ফাসোর নায়ক যিনি খলনায়কও তিনি। ১৯ বছর বয়সী ডাঙ্গো কোয়াতারা গোল করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। আবার লাল কার্ড দেখে বহিষ্কৃত হয়েছে। ৮২ মিনিটের সময় তিউনিসিয়ার বদলি খেলোয়াড় আলী মালোলের মুখে কনুই দিয়ে আঘাত করায় লাল কার্ড দেখেন তিনি। রেফারি তাকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ভিএআর দেখে লাল কার্ড দেখান। ফলে সেমিফাইনাল ম্যাচে তার খেলা হবে না।

প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোলটি করেন কোয়াতারা। এ নিয়ে গত পাঁচ আসরের মধ্যে বুরকিনা ফাসো তৃতীয়বারের মতো আফ্রিকান নেশনস কাপের শেষ চারে পৌঁছালো।

তিউনিসিয়া প্রথমার্ধেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল। ২৭ মিনিটের সময় ওয়াহবি খাজরির নেওয়া ফ্রি কিকের বল বুরকিনা ফাসোর গোলরক্ষক হারভে কোফি ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন। সমতা আনার সুযোগও পেয়েছিলেন খাজরি। বুরকিনা ফাসোর পোস্টের খুব কাছে তৈরি হওয়া সুযোগটি তিনি বাইরে মেরে নষ্ট করেন। শুধু তাই নয়, একাধিক ফ্রি কিক পেয়েও তিনি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। ফলে হার নিয়ে তার দলকে মাঠ ছাড়তে হয়, সে সঙ্গে টুর্নামেন্ট থেকে নিতে হয় বিদায়।

মন্তব্য

Beta version