-->
শিরোনাম
বিপিএল

কুমিল্লাকে মাটিতে নামাল ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লাকে মাটিতে নামাল ঢাকা

যে ব্যাটিং-লাইনআপ, তাতে কুমিল্লার জন্য টার্গেট দুরূহ ছিল না। কিন্তু শুরুতে লিটনের বিদায়। ডু প্লেসিসের রানআউট। এক ওভারে রাসেলের বলে জয় ও ইমরুলের বোল্ড হয়ে ফেরা, ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় দলটিকে। বিপিএলে টানা তিন জয়ে রীতিমতো ওড়া কুমিল্লা পায় প্রথম হারের স্বাদ। কুমিল্লাকে মাটিতে নামাল শেষ পর্যন্ত মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৫০ রানে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহর ঢাকা।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ঢাকার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮১ রান। জবাবে ১৭.৩ ওভারে ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় কুমিল্লার ইনিংস। হারলেও ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে কুমিল্লা। অন্যদিকে ৬ ম্যাচে তৃতীয় জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। ক্যারিয়ার সেরা ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে কুমিল্লা। ইনিংসের প্রথম ওভারে রুবেলের বলে ইমরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। ৩ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি লিটন। দলীয় ১২ রানে বিদায় নেন আগের ম্যাচে দারুণ খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডু প্লেসিস। ৭ বলে ৮ রান করে তিনি হন রানআউট। এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। এ জুটি দলকে নিয়ে যান ৮২ রান পর্যন্ত। ওভার তখন ১০।

১১তম ওভারে এ জুটি ভাঙেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। বোল্ড করেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে। ২৩ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৮ রান করে ফেরেন ইমরুল। একই ওভারে রাসেল ফেরান ক্রিজে থিতু হওয়া মাহমুদুল হাসান জয়কেও। সেও রাসেলের বলে বোল্ড। ৩০ বলে ৮ চারে ৪৬ রানে ফেরেন কুমিল্লার ওপেনার। ব্যাট হাতে আগের ম্যাচে ঝড় তোলা ক্যামেরন ডেলপোর্ট এদিন অবশ্য ব্যর্থ। দলীয় ৮৭ রানে তিনি হন রানআউট। ৭ বলে তিনি করেন ৩ রান। ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারানো কুমিল্লাকে আর পথ দেখাতে পারেনি কেউ। ১৫ বল হাতে রেখে দলটি অলআউট হয় ১৩১ রানে। শেষের দিকে ১১ বলে ১৭ রান করেন আফগান ক্রিকেটার করিম জান্নাত। ১০ বলে ২টি চারে ১২ রান করেন আরিফুল। গোল্ডেন ডাক মারেন নাহিদুল। ৭ বলে এক ছক্কায় ১০ রানে অপরাজিত থাকেন তানভির ইসলাম।

বল হাতে ঢাকার হয়ে ১৭ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। এছাড়া এবাদত হোসেন ও কায়েস আহমেদ নেন দুটি করে উইকেট। রুবেল হোসেন পান এক উইকেটের দেখা। ৭০ রানের দারুণ অপরাজিত ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ঢাকা। মোস্তাফিজের বলে এলবি হয়ে ফেরেন ঢাকার ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ (৫ বলে ৬ রান)। ইমরান উজ্জামানের সঙ্গে তামিমের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ঢাকাকে নিয়ে যায় ৫৫ রান পর্যন্ত। করিম জান্নাতের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ইমরান উজ্জামান। ১৪ বলে ২টি চারে ১৫ রান করেন ইমরান। এ জুটিতে আসে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৪৮ রান।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে চলতে থাকে তামিমের পথচলা। দলীয় ৮৫ রানে ফেরেন তামিম। তানভিরের বলে করিমের হাতে ক্যাচ দেন এ ড্যাশিং ওপেনার। তার আগে করে যান ৩৫ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। তামিমের ইনিংসটি সাজানো ২টি চার ও ৩টি ছক্কায়। এরপর যা করেছেন বলতে গেলে মাহমুদউল্লাহই। শেষ পযন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৪১ বলে ৭০ রানের দারুণ চকচকে ইনিংস খেলে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটিই তার সেরা ইনিংস। ৪টি ছক্কার পাশাপাশি তিনি হাঁকান ৩টি চার। ৩ বলে ২ রানে অপর অপরাজিত ব্যাটার মাশরাফি। এছাড়া শুভাগত ৯, আন্দ্রে রাসেল ১১, নাঈম ১০ রান করেন। বল হাতে কুমিল্লার হয়ে তানভির দুটি, মোস্তাফিজুর, শহিদুল ও করিম নেন একটি করে উইকেট।

মন্তব্য

Beta version