-->
আফ্রিকান নেশসন কাপ

বুরকিনা ফাসোকে হারিয়ে সেনেগাল ফাইনালে

ক্রীড়া ডেস্ক
বুরকিনা ফাসোকে হারিয়ে সেনেগাল ফাইনালে

মাত্র ২০ মিনিটের ঝলক। এ সময়ে বুরকিনা ফাসোর জালে তিনবার বল ফেলেছে সেনেগাল। আর তাতেই আফ্রিকান নেশসন কাপে ফাইনালের টিকেট পেয়েছে সেনেগাল। বুধবার ৩-১ গোল জয় নিয়ে শিরোপা জয়ের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে তারা। শেষ ২০ মিনিটে এই গোল করে সেনেগাল। আবদু ডিয়ালো, ইদ্রিসা গুয়েয়ে ও সাদিও মানে গোল তিনটি করেন।

মূলত ম্যাচে হওয়া চারটি গোল হয়েছে শেষ ২০ মিনিটে। আবদু ডিয়ালো প্রথমে গোলের খাতায় নাম লেখান। ৭০ মিনিটের সময় জটলার মধ্যে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে ডিয়ালো সেনেগালকে এগিয়ে নেন। ব্যবধানটা বাড়ানোর জন্য বা জয় নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় গোলটি করতে মোটেও সময় নেয়নি সেনেগাল। ৭৬ মিনিটেই তারা দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায়। তবে ৮২ মিনিটে বুরকিনা ফাসো ব্যবধানে কমিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। সে উত্তেজনা অবশ্য বেশি সময় থাকেনি। সাদিও মানে একক প্রচেষ্টায় দূর্দান্ত এক গোল করে বুরকিনো ফাসোর সব সম্ভাবনা নিভিয়ে দেন।

ডিয়ালোর গোলের রূপকার ছিলেন কালিদু কোউলিবালি। কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বলে কোউলিবালি বাইসাইকেল কিক নিয়েছিলেন। তার কিক বুরকিনা ফাসোর বিপদ সীমানার সামনেই পেয়ে যান ডিয়ালো। হঠাৎ পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে মোটেও ভুল করেননি ডিয়ালো।

ম্যাচে সেনেগাল আরও বড় ব্যবধানে জয় পেলে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। তারা দুটো পেনাল্টির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দুইবারই রেফারি ভিএআর দেখে তাদের দাবি বাতিল করেন। বুরকিনা ফাসোর গোলরক্ষক হারভে কফি উঁচু একটি বলকে ক্লিয়ার করতে গিয়ে সেনেগালের চেইখু কোয়াতের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। রেফারি ভিএআর দেখে গোলরক্ষকের কোনো দোষ না পাওয়ায় পেনাল্টির দাবি বাতিল করেন। এ ঘটনায় কফি আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন।

প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে সেনেগালের দ্বিতীয় পেনাল্টির দাবি বাতিল করা হয়। গানা গুয়েয়ের শট বুরকিনা ফাসোর টাপসোবার হাতে লাগলে সেনেগাল পেনাল্টির দাবি করে। কিন্তু ভিএআর এ দেখা যায় বল টাপসোবার হাতে লাগেনি এবং এটা হ্যান্ডবল ছিল না। প্রথমার্ধে দুটো পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হলেও দ্বিতীয়ার্ধে তারা আরও গোল থেকে বঞ্চিত হয়নি। বরং একের পর এক গোল করে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।

ম্যাচ শেষে সাদিও মানে বলেন, ‘আমরা জানতাম ম্যাচটা মোটেও সহজ হবে না। সর্বোপরি এটা ছিল সেমিফাইনাল ম্যাচ। বুরকিনা ফাসো আমাদের জন্য ম্যাচটা কঠিন করে তুলেছিল। তবে আমরা তাদের তুলনায় ভালো খেলেছি। তারা আমাদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা শান্ত ছিলাম। ভালোভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি এবং সুযোগগুলো কাজে লাগিয়েছি। আমরা যোগ্য দল হিসেবেই জয় পেয়েছি।’

২০১৯ সালে রানার্স আপ হওয়া সেনেগাল ফাইনাল খেলবে মিসর বা স্বাগতিক ক্যামেরুনের বিপক্ষে। এ দুটো দল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে।

 

মন্তব্য

Beta version